ঊষসী চক্রবর্তী।
প্ল্যাকার্ডে বাম নেতা, মন্ত্রী, প্রয়াত শ্যামল চক্রবর্তীর ছবি। সঙ্গে দেবদীপ মুখোপাধ্যায়ের গানের লাইন, ‘প্রিয় বন্ধুকে দিয়ে এসো প্রিয় নাম।’ বিদ্যাসাগর আঞ্চলিক কমিটির ভারতীয় ছাত্র ফেডারেশন বাম দলের সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে তৈরি করেছে এই প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ড দেখে মনখারাপ ঊষসী চক্রবর্তীর।
বাবা থাকলে তিনিও সবার সঙ্গে নেমে পড়তেন মাঠে, ময়দানে। হঠাৎ হারিয়ে ফেলা বাবার অভাব তাই নতুন করে যেন অনুভব করছেন একমাত্র মেয়ে।
সোশ্যালে সেই ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রীর আফসোস, ‘বাবা, ছবিটা দেখে বুকটা ধক করে উঠল। আর কটা মাস যদি সময় দিতে। কত আয়োজন ছিল এই মাসে। পাড়ায় পাড়ায় কত বক্তৃতা, স্মৃতিচারণ। তুমি ছাড়া যা অপূর্ণ থেকে যায় বরাবর...'।
ঘাড়ের কাছে শ্বাস ফেলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। জোর টানাপড়েন ঘাস আর পদ্মফুলে। তার মধ্যেই নিজেদের মতো করে ‘গড়’ সাজিয়ে নিচ্ছে বাম দল। জেলায় জেলায় দলীয় কার্যালয় উদ্ধারের পাশাপাশি সিপিআই (এম) -এর সমস্ত শাখার নেতা, কর্মীরা আয়োজন করছেন নানা সাংগঠনিক কাজ। শ্রমজীবী ক্যান্টিন, রক্তদান শিবির, সস্তায় বাজার, ফ্রি কোচিং ক্লাসের মতো একাধিক কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে জেলায়।
ঊষসীর মনে পড়ছে, ‘আমাদের বসার ঘরে এই সময় কত মজার গল্প হত বল! কত পুরনো দিনের কথা! কেমন করে স্লোগান দেওয়ার সময় মুখ থেকে রক্ত উঠে তুমি সোজা চলে গেছিলে হাসপাতাল। কেমন করে আত্মগোপনে তোমার নাম হয়ে গেছিল সমীর! কেমন করে জেলে বসে তুমি আর বাকি কমরেডরা ভাগ করে নিয়েছিলে বাড়ির পাঠানো পায়েস...'।
শ্যামলবাবুর শেষ লড়াই করোনার বিরুদ্ধে, হাসপাতালে। মেয়ের লড়াই শ্যুটিং জোনে।
‘শো মাস্ট গো অন’, এই আপ্তবাক্য মেনে শ্যামল চক্রবর্তী হাসপাতালে থাকাকালীনই অভিনয়ের ময়দানে ফিরেছিলেন ‘জুন আন্টি’। পাশাপাশি, ১২ অগস্ট পিএইচডি-র থিসিস পেপারও জমা দেন। বিষয়, ‘কমিউনিস্ট পার্টিতে মেয়েদের অবস্থা ও ভূমিকা(১৯৩৮-১৯৭৭)’।
একমাত্র মেয়ের দাবি, বাবা এই দিনটি দেখতে চেয়েছিলেন বরাবর।
আরও পড়ুন: হলুদ বিকিনিতে মলদ্বীপে দিশা, ছুটি কাটাচ্ছেন টাইগারের সঙ্গে?
এত বাচ্চা সাজছিস কেন! শোভনকে ‘মিষ্টি’ ডেকে প্রশ্ন স্বস্তিকার