ইরানের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন উর্বশী রওতেলা।
চুল কেটে ফেললেন উর্বশী রওতেলা। এ বার আর ঋষভ পন্থের জন্য নয়। ছবি পোস্ট করে নিজেই জানালেন, ইরানের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন তিনিও। বিচার চান নারীদের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের।
২২ বছরের মাহশার রহস্যমৃত্যুতে উত্তাল ইরান। বিক্ষোভের আঁচ ইরান ছাড়িয়েও ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে ইরানের মহিলাদের। তার পরই বিশ্ব জুড়ে মহিলা তারকারা নিজেদের চুল কেটে ভিডিয়ো করে প্রতিবাদী স্বর তোলেন। পাশে দাঁড়ান ইরানের নারীদের। তাঁদের মধ্যে এক জন উর্বশী।
সোমবার তাঁর সাধের চুলের লক্স উড়িয়ে ফেলার ছবি দিয়ে অভিনেত্রী লিখলেন, “চুল কেটে ফেললাম। ইরানের সমস্ত মহিলা এবং ছোট্ট মেয়েদের লড়াইয়ে আমার সমর্থন রইল। যে নারীরা মাহশা আমিনির গ্রেফতার এবং মৃত্যুর প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহিদ হলেন, তাঁদের পক্ষ নিয়ে আমার প্রতিবাদ জারি রইল।”
উর্বশী আরও জানান, বিশ্ব জুড়ে মহিলারা একজোট হচ্ছেন ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে চুল কেটে ফেলছেন নিজেদের। মহিলারা দেখিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আর কারও নজরের উপর নির্ভরশীল নয়। তাঁরা কী পরবেন, কী ভাবে রাস্তায় বেরোবেন, বা কেমন আচরণ করবেন— এ সব তাঁরাই ঠিক করবেন, রাষ্ট্র কিংবা পুরুষতন্ত্র নয়। এক জন মহিলার সঙ্গে অনাচার হলে তা সমস্ত মহিলার গায়ে এসে লাগে। মানবীচেতনার জাগরণ এ বার দেখতে পাবে পৃথিবী।
উর্বশীর এই পোস্টের নীচেও অবশ্য তির্যক মন্তব্য নজরে এসেছে। সে দেশে বসে তিনি যা-ই করেন, লোকে বলেন সবটাই ক্রিকেটার ঋষভের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে উর্বশীর অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে বিদ্রুপ অনেক দূর গড়িয়েছে। তাঁর পিছু ধাওয়া করেই নাকি সেখানে গিয়েছেন অভিনেত্রী। ধ্যানভঙ্গ করতে চাইছেন খেলার আগে। সে নিয়ে ‘স্টকার’ অপবাদও দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী উর্বশীকে।
তখনও প্রতিক্রিয়ায় উর্বশী তুলনা টেনেছিলেন প্রয়াত মাহশার সঙ্গে। ইরানের তরুণী পরিস্থিতির শিকার, মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন উর্বশী। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ট্রোলিং-এর চাপে তাঁরও যদি এই পরিণতি হয়?