সম্প্রতি এক ফ্যাশন উৎসবে অবাক করা আবরণে দেখা গেল উরফিকে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিষয় যখন ফ্যাশন, উরফি জাভেদ একাই একশো। মাথায় তাঁর নিত্যনতুন ফন্দি। যে কোনও উপকরণ দিয়েই পোশাক বানিয়ে ফেলতে পারেন মডেল-তারকা। শরীর ঢাকতে যে কোনও বস্তুই যে ব্যবহৃত হতে পারে, তা বহু বার বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক ফ্যাশন উৎসবে অবাক করা আবরণে দেখা গেল উরফিকে।
কালো শ্রাগ গলিয়ে নিয়েছেন দু’হাতে। তার উপর উজ্জ্বল নীল রঙের ঝিলমিল। কনুই থেকে হাতের পাতা ঢাকা পড়েছে সেই রঙেরই গ্লাভসে। হাওয়ায় উড়ছে তাঁর কেপ। কিন্তু ভিতরে বিশেষ কিছুই পরেননি। শরীরচাপা টপ সাঁতরের পোশাকের ধরনে শেষ হয়ে গিয়েছে নিম্নাঙ্গ ঢেকেই। যেন হেঁটে আসছেন কোনও কমিক্স স্ট্রিপের অতিমানবিক চরিত্র। উরফির চেহারায় সুপারউওম্যানের দীপ্তি। তবে সেই সব চরিত্র যেমন শরীর ঢাকা পোশাক পরে, সেটাই বাদ পড়েছে উরফির ভাবনা থেকে। কোমর থেকেই উন্মুক্ত পা। বুকেও অনেকখানি উন্মুক্ত। কোনও ক্রমে ঢাকা পড়েছে স্তনযুগল। তবে অলঙ্কার পরতে ভোলেননি। পোশাক পরুন বা না পরুন, বেশির ভাগ সময়েই নানা রকম অলঙ্কারে সাজতে দেখা যায় তাঁকে। এই পোশাকেও হাতে রয়েছে বড় বড় আংটি। কানে মানানসই দুল।
স্বপ্নও তো এমনই ছিল উরফির! লখনউয়ে মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে অনেক লাঞ্ছনার মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। বাবা অত্যাচার করতেন, তাই মা আর বোনকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন। একার রোজগারে বোনকে পড়িয়েছেন তার পর।পাশাপাশি চলেছে ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা। নিজেই নিজের নতুন পোশাক বানাতেন পুরনো পোশাক কেটে। সেলাই করতেন বুদ্ধি করে। এখন সামর্থ্য রয়েছে তাই বুদ্ধিটুকু দিয়ে দেন, পোশাক বানান অন্য শিল্পী। এ ভাবেই এতটা পথ এসেছেন। নিন্দকদের যাবতীয় কটাক্ষের পরোয়া না করে ফ্যাশনে নতুন দিগন্ত এনে দিয়েছেন উরফি মাত্র ২৫ বছর বয়সে। ইদানীং, শুধু রিয়্যালিটি শো নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে তাঁর। জোরালো বক্তব্যও প্রশংসিত হয় অনেক ক্ষেত্রে। শুধু পোশাক তো নয়, মন্তব্যেও চাঁচাছোলা উরফি। বিতর্কিত কথা বলেও শিরোনাম ছিনিয়ে নেন।