উরফি জাভেদ। ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশন জগতের অন্যতম চেনামুখ তিনি। তবে স্রেফ পেশাগত কারণে নয়। বিতর্ক তৈরি করায় উরফি জাভেদের জুড়ি মেলা ভার। কখনও নিজের পোশাক নির্বাচনের মাধ্যমে, কখনও আবার নিজের বেফাঁস মন্তব্যের মাধ্যমে কোনও না কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করেন উরফি। কখনও তাঁর পরনে পিৎজ়ার টুকরো। কখনও আবার ক্যামেরার সামনে তিনি নিজেকে ঢাকেন সেফটি পিন দিয়ে বানানো পোশাকে। কখনও বাঁশের ঝুড়িই তাঁর আড়ালের একমাত্র সম্বল। কখনও আবার ফুলের পাপড়িতে নিজেকে সাজান তিনি। একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সত্ত্বেও সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। নিজের সাহসের জন্য একাধিক বার বাহবাও পেয়েছেন উরফি। তবে এ বার তাঁকে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেল এক খুদে। কেঁদেও ফেলল উরফির সামনেই। খুদেকে কাঁদতে দেখে অস্বস্তিতে পড়লেন উরফিও। কী ভাবে পরিস্থিতি সামলালেন তিনি?
সম্প্রতি বিমানবন্দরে এক সাদা পোশাকে দেখা গিয়েছিল উরফিকে। তবে উরফির বানানো পোশাক বলে কথা, কিছু না কিছু অদ্ভুত বিষয় তো তাতে থাকবেই! উরফির এই পোশাকে যেমন ছিল না কোনও হাতা। তার ফলে, বাইরে থেকে উরফির হাতও দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। উরফির এমন অবতার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে কেঁদেই ফেলে এক খুদে। ওই বাচ্চাতে কাঁদতে দেখে অস্বস্তিতে পড়েন উরফিও। খুদের কাছে ক্ষমাও চান উরফি। তাতে অবশ্য বরফ গলেনি। তবে ওই খুদেকে কোলে তুলে নিতে পারেননি উরফি। কারণ তাঁর হাত তো পোশাকের ভিতরে! উরফি বলেন, ‘‘আমি তোমাকে আশীর্বাদ করতে পারি, কোলে নিতে পারব না।’’
উরফির পোশাক নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে উৎসাহ কম নয়। বিশেষত, প্রতিটি পোশাকের পিছনে যে ভাবনা থাকে তাঁর, তাতেই চোখ আটকে যায় নেটাগরিকদের। বাড়িতেও কি একই ধরনের সাহসী পোশাক পরেন তিনি? সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় এমনই এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন উরফি। টেলিতারকার সোজাসাপটা উত্তর, ‘‘আমি বাড়িতে থাকলে কিছুই পরি না!’’ তবে কি বিবস্ত্র অবস্থাতেই থাকেন তিনি? উরফির সহজ উত্তর, ‘‘হ্যাঁ! আগে আমরা একটা ঘরে আট-দশ জন থাকতাম, এখন আমি একটা তিন কামরার অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছি। আমি বাড়িতেও জামা পরি না, বাইরেও না।’’ তাঁর উত্তর শুনে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেন সঞ্চালিকাও। ন্যূনতম পাজামা এবং টিশার্টও কি পরেন না উরফি? টেলিতারকা নিজের সহজাত ভঙ্গিতে উত্তর দেন, ‘‘আমি পাজামা উপরে পরি, আর টিশার্ট নীচে!’’