অরিজিতের হোটেলে খাবারের খরচ কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ সিংহ। সারা বিশ্বে তাঁর খ্যাতি। কিন্তু বছরের বেশির ভাগ সময় কাটান মুর্শিদাবাদের ছোট্ট শহর জিয়াগঞ্জেই। দুই ছেলে, স্ত্রী কোয়েল সিংহকে নিয়ে সেখানেই বাস। বর্তমানে গানের পাশপাশি একটি রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর। যদিও শুধু অরিজিৎ নন, এই মুহূর্তে বহু বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেটার— অনেকেরই কোনও না কোনও বিকল্প আয়ের উৎস রয়েছে। তবে সবার থেকে এখানেও তিনি আলাদা। অরিজিতের হোটেলে খেতে গেলে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় না। মাত্র ৩০ টাকায় পাওয়া যায় খাবার।
এমনিতেই অরিজিতের জনপ্রিয়তা কারণে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ হয়ে উঠেছে অন্যতম ভ্রমণের জায়গা। শিল্পীর বাড়ি থেকে রেস্তরাঁ দেখার ভিড় বাড়ছে ভ্লগারদের। জিয়াগঞ্জের অন্দরে এমনিতেই জনপ্রিয় ‘হেঁশেল’ রেস্তরাঁ। কারণটা অবশ্য খাবারের দাম। এই রেস্তরাঁর দেখভাল করেন গায়কের বাবা সুরেন্দ্র সিংহ ওরফে কাকা সিংহ। ব্যবসায়িক লাভের স্বার্থে নয়, বরং কর্মসংস্থান ও স্বল্পমূল্যে খাবার দেওয়াই লক্ষ্য। এখানকার খাবারের মূল্য একেবারেই সাধ্যের মধ্যে। সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.৩০টা পর্যন্ত খোলা অরিজিতের হেঁশেল। পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। মাত্র ৩০ টাকায় ভেজ থালি রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য। বর্তমানে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ টাকা। এ ছাড়াও নান থেকে বিরিয়ানি, রয়েছে মুখরোচক খাবার। মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।
কোটি কোটি টাকা উপার্জন। তবে জীবনযাত্রায় বিলাসিতার ছাপটুকু নেই তাঁর। শুধু যে সস্তায় হোটেল খুলেছেন এমনটা নয়, জিয়াগঞ্জে হাসপাতাল নির্মাণ থেকে খেলায় মাঠ, ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস চালু করার মতো নানাবিধ সমাজের কল্যাণমূলক কাজে ব্রতী ‘কেশরিয়া’ গায়ক।