সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া গুলি চালিয়ে পালানোর মুহূর্ত (বাঁ দিকে) এবং গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় দুই বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। গুজরাতের ভুজ এলাকা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম ভিকি সাহেব গুপ্ত এবং সাগর শিরিযোগেন্দ্র পাল। দু’জনেই আদতে বিহারের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া দুই যুবক জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্য। একাধিক খুনের মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে লরেন্স বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। তবে তাঁর গোষ্ঠীর কার্যকলাপ এখনও সক্রিয় রয়েছে। আগেই সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় দায় স্বীকার করে অনলাইনে পোস্ট করেছিলেন লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবক ভুজের একটি মন্দিরে লুকিয়ে ছিলেন। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তাঁদের পাকড়াও করে পুলিশ। ওই সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার একটি জায়গা থেকে দু’টি বাইক ভাড়া নিয়েছিলেন দু’জন। তার পর পানভেল এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন বলিউড তারকার মুম্বইয়ের আবাসনের সামনে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে দু’জনের বাইক নিয়ে চম্পট দেওয়ার ফুটেজ।
মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা সলমন। রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ এই আবাসনের সামনেই পর পর চার রাউন্ড গুলি চলে। শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান দু’জন। গ্যাংস্টার লরেন্স এবং গোল্ডি ব্রার গোষ্ঠীর কাছ থেকে খুনের হুমকি পাওয়ার পরেই সলমনের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তা ওয়াই প্লাস করা হয়েছিল। তা ছাড়াও এই বলিউড তারকাকে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কিছু দিন আগেই সলমন একটি বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি কিনেছিলেন।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সলমনের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সলমনকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতমের তালিকা’য় রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সলমনের নাম।