আদালতে তিনি নির্দোষ ঠিকই। কিন্তু জনতার আদালতে?
না! সেখানে কিছু লোক অবশ্যই সলমনের পক্ষে কথা বলেছেন। কিন্তু একটা বড় অংশের মানুষ তাঁকে নিয়ে দিনভর মজা করলেন, তাঁর ওপর রেগেও গেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলড হলেন তিনি।
তিনি সলমন খান!
১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা এবং চিনকারা শিকার মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সলমন খান। সোমবার যোধপুর আদালত এক রায়ে তাঁকে নির্দোষ বলে জানিয়েছে। কিন্তু টুইটার বা ফেসবুকে দিনভর আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন দর্শকদের একটা বড় অংশ।
প্রথম আওয়াজ তোলেন সল্লু মিঞার পর্দার ‘ভাবি’ রেণুকা সাহানে। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে রেণুকা সলমনের বৌদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তিনি আজ ফেসবুকে লেখেন, ‘১৯৯৮-তে সলমন খান, সইফ আলি খান, অমৃতা সিংহ, তব্বু এবং সোনালী বেন্দ্রে শিকার করতেই গিয়েছিল। ওরা শিকার করে হরিণের মাংসও খেয়েছিল। কিন্তু একমাত্র সলমনের বিরুদ্ধেই কৃষ্ণসার হরিণ মারার জন্য অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওকে যোধপুর জেলেও থাকতে হয়েছে। কিন্তু বাকিরা?...১৮ বছর পর মুক্তি পেল সলমন। কয়েকটা প্রশ্ন মনে আসছে। ১) হরিণ কে মেরেছিল? ২) ড্রাইভার? ৩) কেউই মারেনি? ৪) আজ প্রমাণিত যে সলমন দোষ করেনি। কিন্তু এতদিন ধরে ও যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটাল তার দাম কে দেবে? ৫) দেশের মানুষ কি আসল সত্যিটা জানতে চান না?...’
এর বিপরীত মতও রয়েছে। পরিচালক নীরজ পাণ্ডে টুইট করেছেন, ‘সলমনের অ্যাক্টিং স্কিল দেখে কৃষ্ণসার হরিণটা সুইসাইড করেছিল।’ সেলেবদের পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন সাধারণ মানুষও। যেমন, অকসর লিখেছেন, ‘২০১৫: সলমন কান ওয়াজ নট ড্রাঙ্ক। ২০১৬: ভাই ডিড নট কিল দ্য ব্ল্যাকবাক। ২০১৭: অ্যাকচুয়ালি দ্য ব্ল্যাকবাক ওয়াজ ড্রাইভিং সলমন’স কার দ্যাট নাইট।’ আবার জোসো লিখেছেন, ‘সলমনের পরের সাসপেন্স থ্রিলার নো ওয়ান কিলড চিঙ্কারা।’
আর সলমন কী বললেন?
দিনভর এ বিষয়ে মুখে কুলুপ ছিল ভাইজানের!