ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।
সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন একটা সপ্তাহও কাটেনি। তার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। বিবাহ পরবর্তী সময়ের সাজ পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নেটাগরিকদের একাংশ। এর পরেই একটি পোস্টের মাধ্যমে ট্রোলারদের জবাব ফিরিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার ত্বরিতা খানিক খোঁচা দিয়েই ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সকলের উদ্দেশে বলা, প্লিজ কেউ শাঁখা-পলা-সিঁদুর নিয়ে জ্ঞান দেবেন না। আমি আবার এত জ্ঞানী হতে চাই না। গুণী হলেই চলবে’।
বিতণ্ডার সূত্রপাত ত্বরিতার অন্য একটি পোস্টে। বিয়ের পরপরই স্বামী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন নববধূ। হলুদ জমির উপর চওড়া গোলাপি পাড়ের শাড়ি আর খোলা চুলে সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। মাথায় সিঁদুর থাকলেও, হাতে শাঁখা-পলার অনুপস্থিতিতে খটকা লাগে একদল নেটাগরিকের। এরপরেই তাঁর পোস্টে সাজপোশাক নিয়ে উড়ে আসা নানা কটাক্ষ এবং তির্যক মন্তব্য।
ত্বরিতার সঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি এ সব নিয়ে কিছু ভাবি না। আজ অবধি শাঁখা, পলা, সিঁদুর পরেও সব বিয়ে টেকেনি। কেউ যদি গ্যারান্টি দিতে পারে এগুলো পরলেই বিয়ে টিকে যাবে, তা হলে নিশ্চয়ই পরব। মানুষ সাজপোশাকে আধুনিক হলেও, মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে পারেনি।”
ত্বরিতা মনে করেন, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী, দু’জনের জীবনেই অনেক পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু শুধু মেয়েদেরকেই সাজপোশাকে কেন সেই পরিবর্তনের চিহ্ন বয়ে নিয়ে যেতে হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পরিবার থেকেও এ ধরনের নিয়ম মেনে চলার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ত্বরিতা। নিজের খেয়ালখুশি মতোই সাজগোজ করার পক্ষপাতী তিনি। তাই সব খারাপ কথা উড়িয়ে নতুন জীবন আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী।