Twarita Chatterjee

Twarita-Sourav: বিয়ের বছরপার ত্বরিতা-সৌরভের, উত্তমকুমারের পরিবারে নাতবউ হওয়া শক্ত?

সৌরভ-ত্বরিতা সবার আগে একে অন্যের ভাল বন্ধু, সেই বন্ধুত্বই তাঁরা দাম্পত্যেও ধরে রেখেছেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪০
Share:

শনিবার উত্তমকুমারের নাতি-নাতবউয়ের প্রথম বিবাহবার্ষিকী।

হওয়া উচিত ছিল ‘গো গো গোয়া’! কিংবা বাড়িতেই জমিয়ে খানাপিনা, গানা-বাজানা। অতিমারির আবহে সেটাই বদলে হয়ে গেল ‘গো গো উলুবেড়িয়া’। শনিবার উত্তমকুমারের ভাই তরুণকুমারের নাতি-নাতবউয়ের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। করোনা কেড়ে নিয়েছে সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের বাবাকে। তা ছাড়া এই আবহে কি আনন্দ হয়? নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে তারকা দম্পতি তাই বেছে নিয়েছেন উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্ট। গন্তব্যে যেতে যেতে ফোনে আনন্দবাজার অনলাইনকে সে খবর জানিয়েছেন ত্বরিতা নিজেই।

Advertisement

শুক্রবার রাত থেকেই আনন্দ আর বিষাদ মিলেমিশে একাকার। পরিবারের বাকিদের সঙ্গে ত্বরিতা-সৌরভও খুশি দাম্পত্যের একটি বছর পার করে। একই সঙ্গে বাবাকে হারিয়ে ফেলার মনখারাপ যেন সেই আনন্দকে অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে। তার উপরে শিয়রে সমন কোভিড। ফলে, কোনও আত্মীয়-পরিজনকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেননি অভিনেতা দম্পতি। ত্বরিতার মা ঠিক করে রেখেছিলেন, নজরকাড়া প্রথম তত্ত্ব পাঠাবেন মেয়ে-জামাইকে। উপহার অবশ্যই এসেছে, তবে আড়ম্বরহীন ভাবে। জানালেন ত্বরিতা।

উপহার হিসাবে ত্বরিতা পেলেন বউভাতের ছবি দেওয়া হোয়াইট ফরেস্ট কেক এবং সোনার নেকলেস।

মাঝ রাত থেকে অবশ্য হুল্লোড়ে মেতেছিলেন বর্ষপূর্তির দম্পতি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘বউভাতের ছবি দেওয়া হোয়াইট ফরেস্ট কেক আনিয়েছিল সৌরভ। শাশুড়ি মা রেঁধেছিলেন, আমার পছন্দের পাঁঠার মাংস। তাতেই ঘরোয়া ভাবে জমজমাট বিবাহবার্ষিকীর আগের রাত।’’ উপহার কী কী পেয়েছেন দু’জনে? একে অন্যকেই বা কী দিলেন? ত্বরিতার দাবি, শুক্রবার রাতে তাঁরা আরও এক প্রস্থ মালাবদল সেরেছেন! এ বার সোনার হারে। সৌরভকে ত্বরিতা দিয়েছেন সোনার চেন। পেয়েছেন সোনার নেকলেস! অভিনেত্রীর মা নতুন জামা-কাপড়, নেকলেস, মিষ্টি সব অনেক কিছুই গুছিয়ে উপহার দিয়েছেন মেয়ে-জামাইকে।

Advertisement

সৌরভকে ত্বরিতা দিয়েছেন সোনার চেন।

শনিবারে রিসর্টে পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর। নিশ্চয়ই পছন্দের সমস্ত খাবারের আয়োজন মেনুতে? ত্বরিতার বক্তব্য, তাঁর পছন্দ চিংড়ি মাছ, পাঁঠার মাংস। এই দুটো পদ থাকছে, তিনি জানেন। বাকিটা সৌরভের দায়িত্ব। এক বছর আগের বিয়ের রাত ফিরে দেখতে গিয়ে রীতিমতো রোমাঞ্চিত তিনি। অভিনেত্রীর উচ্ছ্বাস— দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল! কিছু বুঝে ওঠার আগেই! শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যু ছাড়া বাকিটা মসৃণ ভাবেই কেটেছে। সোজাসুজি জানালেন ধারাবাহিক ‘কড়ি খেলা’র অভিনেত্রী। কারণ, সৌরভ আর ত্বরিতা সবার আগে একে অন্যের ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুত্বই তাঁরা দাম্পত্যেও ধরে রেখেছেন, যুক্তি তাঁর। উত্তমকুমারের পরিবারে নাতবউ হওয়া খুব শক্ত? ‘‘একেবারেই না’’, জবাব এল তরুণকুমারের নাতবউমার কাছ থেকে। তাঁর সংযোজন, ‘‘ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবার এত মুক্তমনা, এত মিলমিশ সবার মধ্যে, না মিশলে বোঝাই যায় না!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement