গিরিশচন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন ব্রাত্য বসু। — ফাইল চিত্র।
গিরিশচন্দ্র ঘোষ বাংলার নাট্যজগতের কিংবদন্তি। ঊনবিংশ শতকে বাংলার নাট্যজগতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি। এ বার সেই গিরিশ ঘোষই বড় পর্দায়। নেপথ্যে প্রযোজক রানা সরকার। আসছে নতুন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। যে ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে দেখা যাবে বিনোদিনী দাসী এবং গিরিশ ঘোষকে। শ্রীচৈতন্য তাঁদের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছিল সেই গল্পই দেখা যাবে বড় পর্দায়। সেই গিরিশচন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন ব্রাত্য বসু। সেই কথাই সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করলেন প্রযোজক রানা।
অন্য দিকে, রামকমল মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘নটী বিনোদিনী’-তে গিরিশ ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এক দিকে, কৌশিক অন্য দিকে ব্রাত্য। দুই দাপুটে অভিনেতা। গিরিশচন্দ্র যেমন আধুনিক বাংলা নাটকের পথপ্রদর্শক তেমনই হালআমলে ব্রাত্যও নাট্য সাহিত্যে এবং প্রয়োগে অনেক অবদান রেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় ব্রাত্য বসুর সঙ্গে, তিনি বলেন, “গিরিশ ঘোষের মতো চরিত্রে অভিনয় করব, অবশ্যই ভাল লাগছে। ওঁর মধ্যে থাকা অন্তর্নিহিত দোলাচল তা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। তবে এই চরিত্রে জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই। আর পাঁচটা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যেমনটা প্রস্তুতি নিই, তেমনই নেব।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে বিনোদিনী রূপে প্রকাশ্যে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা সরকার। এক দিকে বিনোদিনী প্রিয়ঙ্কা সঙ্গে আবার গিরিশচন্দ্র ব্রাত্য। তবে রামকমলের বিনোদিনীর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল বলে? এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে রানা বলেন, “কোনও প্রতিযোগিতা নেই। এখানে তুলনার কিছু নেই। দুটো ছবিই মানুষ দেখুক এটা চাইব। দুটো আলাদা সিনেমা। একটা চৈতন্যের গল্প বলবে। আর একটা বলবে বিনোদিনী দাসীর গল্প।”