(বাঁ দিক থেকে) ব্রিজেন্দ্র কালা, বিনয় পাঠক এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।
এ যেন অদ্ভুত সমাপতন! ২০১৭ সালের ৯ জুন মুক্তি পেয়েছিল সৌরভ চক্রবর্তী পরিচালিত ছবি ‘অরণি তখন’। সেই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পাওলি দাম। বলিউড থেকে ছবিতে ছিলেন প্রতীক বব্বর। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ৬ বছর। শুক্রবার একই দিনে পরবর্তী ছবির প্রথম শিডিউলের শুটিং শেষ করলেন পরিচালক।
তবে এ বার আর বাংলা নয়, বাংলা ছেড়ে ছবির জন্য হিন্দিকেই বেছে নিয়েছেন। ছবির নাম ‘রোডসাইড অপেরা’। শিশু পাচারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে ছবির প্রেক্ষাপট। কী ভাবে এই ছবির ভাবনা বাস্তবায়িত হয়? ভোপাল থেকে শুটিং শেষে পরিচালক বললেন, ‘‘২০১৪ সালে কৈলাস সত্যার্থী নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। শিশু পাচার রুখতে প্রায় ২৫ বছর ধরে উনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। শিশু পাচার আমাদের দেশের এক বড় সমস্যা। বিষয়টা নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে আমার দীর্ঘ দিনের। লকডাউনে আমি এই ছবি নিয়ে কাজ শুরু করি।’’
শুটিংয়ের ফাঁকে (বাঁ দিক থেকে) তনুশ্রী চক্রবর্তী, সৌরভ চক্রবর্তী, শরিব হাশমি। ছবি: সংগৃহীত।
ছবির অভিনেতা নির্বাচনেও রয়েছে চমক। সকলেই প্রায় বলিউডের পরিচিত মুখ। রয়েছেন বিনয় পাঠক, ব্রিজেন্দ্র কালা, শরিব হাশমি, এয়জাজ় খান, একাবলি খন্না। তবে টলিউডের উপস্থিতিও রয়েছে। টলিপাড়া থেকে এই ছবিতে অভিনয় করছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। তবে পরিচালক এখনই অভিনেতাদের চরিত্র নিয়ে খোলসা করতে চাইছেন না। শুধু বললেন, ‘‘একঝাঁক শক্তিশালী অভিনেতাকে এই ছবিতে একত্রিত করতে পেরে ভাল লাগছে। প্রত্যেকেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন। আশা করছি দর্শকদের ছবিটা পছন্দ হবে।’’
সৌরভের দীর্ঘ গবেষণার ফসল এই ছবির চিত্রনাট্য। প্রয়োজনে শিশু পাচার রোধে সক্রিয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং কিছু ক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেও ছবির প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন তিনি। কিন্তু বাংলা ছেড়ে হঠাৎ হিন্দিতে ছবি তৈরির সিদ্ধান্ত কেন? পরিচালক হেসে বললেন, ‘‘আমি তো আবার বাংলায় ফিরব। শিশু পাচারের ক্ষেত্রে আমাদের বাংলার অবস্থা কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের মতো খুব শোচনীয় নয়। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে এই ধরনের অপরাধ অনেক বেশি ঘটে। তাই ছবির স্বার্থেই হিন্দির দ্বারস্থ হওয়া।’’
আসলে দেশের একটি প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য সৌরভ ছবিটি তৈরি করছেন। তা হলে কবে মুক্তি পাবে এই ছবি? এখনও সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানালেন পরিচালক। কারণ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন লোকেশনে ছবির সিংহভাগ শুটিং সেরেছে ইউনিট। ছবির বাকি অংশের শুটিং শেষ হলে তার পর মুক্তির দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। ছবিটির অন্যতম প্রযোজক অপেরা মুভিজ়।