শীলবাটির জগদ্ধাত্রী পুজোয় টলিউড পরিচালক অরিন্দম শীল। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পালা মিটেছে গত মাসে। তবে উৎসব এখনও বাকি। কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটার পরে এ বার সাজসাজ রব জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে। বিশেষত চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের মতো জায়গা এখন উৎসবমুখর। তিথি মেনে ঘটা করে পুজো সেখানে। কলকাতা কি বাদ থাকে? বিলাসবহুল বহুতলেই ১৮৯ বছরের পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করলেন টলিউড পরিচালক অরিন্দম শীল। চলতি বছর ১৯০-এ পা দিল সেই ঐতিহ্যবাহী পুজো।
শীলবাটির জগদ্ধাত্রী পুজোয় সপরিবারে অরিন্দম শীল। -- নিজস্ব চিত্র।
আর পাঁচটা দিনের চেয়ে বেশ কিছুটা আলাদা ভাবে মঙ্গলবারের সকাল শুরু হয়েছে ‘মিতিন মাসি’ খ্যাত পরিচালকের। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে সোজা নিজের বাড়ির পুজোর মণ্ডপে হাজির অরিন্দম। বহুতলের অন্য বাসিন্দারাও একে একে যোগ দিতে শুরু করেছেন পুজোয়। পুজোর সব আয়োজন সামলাতে দেখা গেল পরিচালককেই। কখনও দেবীকে মালা পরাচ্ছেন তিনি, কখনও আবার অতিথি আপ্যায়নের ব্যস্ততা। পরিচালকের অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন প্রয়াত পোশাকশিল্পী শর্বরী দত্ত। তাঁর স্টুডিয়ো থেকেই তাই জগদ্ধাত্রী পুজোর ধুতি ও পাঞ্জাবি এসেছে অরিন্দমের জন্য।
শীলবাটির জগদ্ধাত্রী পুজোয় অতিথিদের সমাগম। —নিজস্ব চিত্র।
লাল পাঞ্জাবি ও লাল পাড় সাদা ধুতিতে সেজেছেন তিনি। কথায় কথায় পরিচালক জানান, কৃষ্ণনগরের জগন্নাথ প্রামাণিকের হাতে জীবন্ত হয়েছেন দেবী। আগে কলেজ স্ট্রিটের বাড়িতে হত শীল পরিবারের এই পুজো। এখন জায়গা বদল হয়ে পুজো উঠে এসেছে বহুতলে। তবে ঐতিহ্যের ধারা বহন করায় কোনও খামতি রাখেননি ‘শবর’ সিরিজ়ের পরিচালক। সাদা আলপনা, ঝালরে সেজে উঠেছে গোটা মণ্ডপ। অরিন্দমের কথায়, ‘‘পৃথিবীর এখন যা অবস্থা, তাতে শান্তিটা এখন ভীষণ দরকারি, ভীষণ দামি। সে কথা মাথায় রেখেই এই সাজ রেখেছি।’’
নিয়মরীতি মেনে পুজো তো আছেই, তবে উৎসবের আয়োজনেও কমতি রাখেননি টলিউডের নামজাদা পরিচালক। পুজোর ভোগে খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা থেকে শুরু করে ধোঁকার ডালনা, ছানার কোফ্তা— মেনুতে আছে রকমারি বাঙালি খাবার। অতিথি তালিকাও তারকাখচিত। টলিউডের তারকারা তো আছেনই, রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রীকেও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শীলবাটির পুজোয়।