স্বয়ং স্রষ্টাকে সামনে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছিলেন পর্দার নন্টে। ছবি: সংগৃহীত।
নারায়ণ দেবনাথ বিখ্যাত সাহিত্যিক। হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে— এমন অসংখ্য কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা তিনি। তাঁর সেই বিখ্যাত সৃষ্টিই এ বার সিনেমার পর্দায়। নব্বই দশকে শিশুদের গরমের ছুটির বেশির ভাগ সময়ই কাটত নন্টে ফন্টে পড়ে। পরবর্তীকালে সেই নন্টে ফন্টে আর কেল্টুদার কীর্তি দর্শক দেখেছেন ছোট পর্দায়। প্রতি সপ্তাহে রবিবার সকালে টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হত নন্টে ফন্টেরা। এ বার বড় পর্দায় আসতে চলেছে তারা। পরিচালনার দায়িত্বে অনির্বাণ চক্রবর্তী। অভিনয়ে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহম বসু চৌধুরী, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, লামা, কাঞ্চনা মৈত্র, সুমিত সমাদ্দার-সহ আরও অনেকে।
এই সিনেমার লুক সেটেও হাজির হয়েছিলেন স্রষ্টা। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রদের পর্দায় সঠিক মানাচ্ছে কি না, তা পরখ করার জন্য সেটেও হাজির হয়েছিলেন লেখক। আর স্বয়ং স্রষ্টাকে সামনে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছিলেন পর্দার নন্টে। যে চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহম বসু চৌধুরী। শিশুশিল্পী হিসাবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর যাত্রা শুরু। প্রথম কাজ ‘বেহুলা’ সিরিয়ালে। তার পর যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত ‘অপরাজিত’ সিরিয়ালে নায়কের ছেলের চরিত্রে তাঁর অভিনয় সকলের নজর কাড়ে। যে সিরিয়ালে দিতিপ্রিয়া রায়কে দর্শক দেখেছিলেন তাঁর দিদির চরিত্রে।
সেই সোহম এই বছরই উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছেন। ‘নন্টে’ চরিত্রে অভিনয় করে খুবই উত্তেজিত তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে সোহম বলেন, “নন্টে ফন্টের গল্প খুব একটা পড়া হয়নি। তবে টেলিভিশনের পর্দায় নন্টে ফন্টে আর কেল্টুদার গল্প দেখেছি। সেই চরিত্রে অভিনয় করে আমি সত্যিই খুশি। আর যে দিন স্বয়ং নারায়ণস্যর আসেন আমাদের লুক দেখতে একটু তো ঘাবড়েই গিয়েছিলাম। বেশি কথা বলতে পারিনি। তবে ওঁর সঙ্গে আমার একটা ছবি আছে তাতেই নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।” খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ‘নন্টে ফন্টে’।