মোটা বলেই কি সুন্দর নয়? নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন টলিউড অভিনেত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত।
সুন্দরী মেয়ে বলতে আমরা কী বুঝি? সংজ্ঞা জিজ্ঞাসা করলে এক পলকে আমাদের মনে পড়বে ছিপছিপে গড়নের এক রমণীকে। গায়ের রং ফর্সা, পিঠছাপানো লম্বা কালো চুল, দু’চোখে টানা কাজল। যাঁর রূপ দেখে এক মুহূর্তের জন্য থমকে যাবে সব কিছু। সুন্দরী তেমন না হলে চলে! কিন্তু যাঁদের কোমরের মাপ তথাকথিত সৌন্দর্যের সংজ্ঞার সঙ্গে খাপ খায় না? তাঁরা কি তবে তবে কুৎসিত? তাঁদের কি নিজেদের সুন্দর মনে করার বা বলার কোনও অধিকার নেই? সমাজের তথাকথিত এই ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন টলিপাড়ার তিন অভিনেত্রী। দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্ঘশ্রী সিন্হা, অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। নিজেদের জীবনের একাধিক অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন এই তিন টলি অভিনেত্রী।
এঁদের মধ্যে দেবশ্রী জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি। এক সময় এক ‘সিনিয়র’-এর কাছে ‘সাদা হাতি’র তকমা পেয়েছিলেন তিনি। সে কথা মনে করে দেবশ্রী বলেন, ‘‘এখন উনি যদি এই ভিডিয়ো দেখেন, তা হলে উনি দেখতে পাবেন উনি ওই জীবনটাই কাটাচ্ছেন। আমি কিন্তু নিজের জীবনে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি।’’ দেবশ্রীর গলায় স্পষ্ট আত্মবিশ্বাস। মোটা অভিনেত্রী হলেও ‘স্থূলতা’র প্রচার করছেন না তাঁরা, সাফ বক্তব্য সঙ্ঘশ্রী সিন্হার। ‘‘মোটা মানেই কি সে বেশি খাবার খায়? আর খেলেও আপনার খাবার তো খাচ্ছে না!’’ সমস্ত বিদ্রুপের জবাব দিলেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।
বাচস্পতি ভাদুড়ি আর ফুল্লরা ভাদুড়ি — দু’জনের সংসারের গল্পের আধারে ‘ফাটাফাটি’ ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। শহরের আর পাঁচটা দম্পতির মতোই সাধারণ তাঁরা। তাঁদের সমস্যাগুলিও তেমনই সাধারণ৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি দিনের সমস্যার কঠিন কথাগুলিকে সহজ করে বলতে চলেছে এই ছবি। ছবির প্রযোজনায় নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ বাচস্পতি এবং ফুল্লরার চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী। এই ছবির চরিত্রের জন্য প্রায় ২৫ কিলো ওজন বাড়িয়েছিলেন ঋতাভরী। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ছবির প্রচার ঝলক। চলতি বছরের মে মাসে মুক্তি পেতে চলেছে অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘ফাটাফাটি’।