সোনামণি সাহার কেরিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ় মুক্তি পেয়েছে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
প্রশ্ন: প্রথম সিরিজেই বিষয় ‘কেলেঙ্কারি’! এমন একটা বিষয় নির্বাচনের পিছনে কোনও বিশেষ কারণ ছিল?
সোনামণি: আসলে আমি সেই জায়গায় নেই যে, নির্বাচন করব। সিরিজের পরিচালক অভিরূপ ঘোষ ও ‘হইচই’ আমাকে বেছেছে। তাঁরা আমাকে মোহনার চরিত্রের জন্য ভেবেছেন। পরবর্তী কালে গল্প পড়ে আমারও ভাল লেগেছে। এ ভাবেই আমার শুরু।
প্রশ্ন: রজতাভ দত্ত এই সিরিজের প্রধান মুখ। শুটিং ফ্লোরে তাঁর সঙ্গে প্রথম অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সোনামণি: রনিদার সঙ্গে আমার খুব বেশি দৃশ্য ছিল না। কিন্তু প্রথম দিন আমাকে দেখেই বলেছিলেন, ‘‘তুমি তো ভীষণ জনপ্রিয়।’’ সেটা শুনে কী-ই বা বলতে পারি। খুব লজ্জা পেয়েছিলাম। উনি খুবই অভিজ্ঞ এক জন অভিনেতা। রনিদার সঙ্গে ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্যটা করে দারুণ লেগেছে। আসলে রনিদা ভীষণ ভাল মানুষ।
প্রশ্ন: টলিপাড়ায় কিঞ্জল এখন চর্চায় রয়েছেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
সোনামণি: কিঞ্জলদা নাটক থেকে এসেছেন। তাই যে কোনও দৃশ্য বা সংলাপ ওর সঙ্গে বার বার রিহার্সাল করে নিতে পারতাম। ফলে শট দেওয়া খুব সহজ হয়ে যেত।
‘দ্য বেঙ্গল স্ক্যাম: বিমা কাণ্ড’ ওয়েব সিরিজের একটি দৃশ্যে কিঞ্জল ও সোনামণি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন: আচ্ছা, জানতে ইচ্ছে করছে ব্যক্তিগত জীবনে সোনামণি সাহার কতগুলো বিমা রয়েছে?
সোনামণি: (হেসে), দুঃখের বিষয় আমার একটাও বিমা নেই!
প্রশ্ন: কী বলছেন! বাংলা ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কোনও ‘বিমা’ নেই!
সোনামণি: না নেই (হাসি)।
প্রশ্ন: জীবনে কখনও কোনও স্ক্যামের অভিজ্ঞতা হয়েছে?
সোনামণি: না। তেমন কোনও জালিয়াতির শিকার হইনি। তবে আমার মতে, জীবনটাই একটা বড় স্ক্যাম! তাই জীবনে প্রতিটা পদক্ষেপ খুব বুঝেশুনে ফেলা উচিত। খুব সচেতন থাকতে হয়। বিশেষ করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি জালিয়াতিতে ভর্তি।
প্রশ্ন: দেখতে দেখতে তো ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ অনেকগুলো বছর কাটালেন। কখনও কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে?
সোনামণি: না, সে দিক থেকে আমি ভাগ্যবান। আমার সঙ্গে তথাকথিত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কারণ আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলার প্রথম সারির একটি বিনোদন চ্যানেলের হাত ধরে। তাই অনেকটাই নিরাপদ ছিলাম। তবে অস্বীকার করব না, শুনেছি ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন।
অভিনেতা প্রতীক সেনের সঙ্গে সোনামণি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন: কেরিয়ারের এই মোড়ে দাঁড়িয়ে এখন ফিরে তাকালে কী মনে হয়?
সোনামণি: আসলে জীবনে এটাই তো চেয়েছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম, মানুষ আমার কাজ দেখবেন। কাজের মধ্যেই যেন ব্যস্ত থাকি, যাতে আলোচনায় থাকি। তার চেয়েও বড় কথা দর্শক যেন আমাকে মনে রাখেন। তাই সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে একটু একটু করে মনের কোণে লালিত স্বপগুলোকে পূরণের দিকেই এগোচ্ছি। তাই ভাল লাগছে।
প্রশ্ন: অনুরাগীদের আলোচনায় থাকার যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমন বিড়ম্বনাও তো রয়েছে। তখন মানুষ তারকার সবটা জানতে চায়। সেটা কি সব সময় পেরে ওঠেন তারকারা?
সোনামণি: আসলে সত্যি কথা বলতে খুব উপভোগ করি। দর্শক তো আমাদের টিভির পর্দায় দেখেন। তাই টিভি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁরা আমাদের নিয়ে ভাবেন। আমরা কী খাচ্ছি, পরছি— সবটা নিয়েই ভাবছেন, কিংবা হয়তো আলোচনা করছেন। অভিনেত্রী হিসেবে সেটাও আমার কাছে খুব বড় প্রাপ্তি।
প্রশ্ন: প্রতীক সেনের সঙ্গে আপনার জুটি সফল। সেই জুটির প্রথম ছবি ‘বেহায়া’। কিন্তু এ রকম একটা ছবি হতে হতেও বন্ধ হয়ে গেল কেন?
সোনামণি: আসলে সব কাজেরই তো সঠিক সময় থাকে। হয়তো এটা এই ছবিটার জন্য সঠিক সময় নয়।
প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ কেরিয়ার নিয়ে আপনার কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
সোনামণি: প্রত্যেকেরই একটা কেরিয়ার প্ল্যান থাকে, আমারও আছে। কিন্তু তারও আগে পর পর কাজের প্রস্তাব আসা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।