Aindrila Sharma

ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি? সকলকে অলৌকিকের জন্য প্রার্থনা করতে বলছেন সব্যসাচী

হাসপাতালে সপ্তাহ ঘুরে গেল। এখনও সুস্থ হয়ে উঠে বসলেন না ঐন্দ্রিলা। শারীরিক অবস্থার কি আরও অবনতি হল? সকলকে প্রার্থনা করার আর্জি সব্যসাচীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ২০:০৬
Share:

ঐন্দ্রিলার সেরে ওঠার জন্য সকলকে প্রার্থনা করতে বললেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

এখনও ঘোরের মধ্যে ঐন্দ্রিলা শর্মা। সাড় নেই। অল্প জ্বর। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। নতুন অ্যান্টিবায়োটিক চালু করা হয়েছে। তাতে অবস্থা ফেরে কি না পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা। তবে নতুন করে অবনতি কিছু হয়নি বলেও হাসপাতাল সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরী ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনার অনুরোধ করলেন নেট মাধ্যমে। চাইছেন, অলৌকিক কিছু হোক। উঠে বসুক ঐন্দ্রিলা।

Advertisement

সব্যসাচীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি:ফেসবুক।

সোমবার সন্ধ্যায় সব্যসাচী লেখেন, ‘‘কোনওদিন এটা এখানে লিখবো ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন।’’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও ‘সি প্যাপ’ সাপোর্টে রাখা হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে, জ্ঞান আসেনি। মঙ্গলবার জানা গিয়েছিল, আবার নাকি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর শরীরে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ফলে তা ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে, এখনও জ্বর আসাটা ভাল লক্ষণ নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার পাওয়া খবর অনুযায়ী অভিনেত্রী জ্বর ১০০ ছুঁয়েছে। কখনও ভাল, কখনও আবার মন্দ, ঐন্দ্রিলার শরীর নিয়ে কোনওটাই সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ঐন্দ্রিলার বয়স যে হেতু অনেকটাই কম, তাই তিনি লড়তে পারবেন— সেই আশাতেই বুক বেঁধেছেন চিকিৎসক এবং তাঁর প্রিয়জনেরা।

Advertisement

গত সোমবার আশা দেখেছিলেন সব্যসাচী। সুখবর এসেছিল হাসপাতাল সূত্রেই। বাঁ দিকে সাড় ফিরেছিল ঐন্দ্রিলার। সেই আনন্দে ফেসবুকে সব্য‌সাচী লেখেন, ‘‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ’’

বিগত কয়েক দিন এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন ঐন্দ্রিলার বাবা-মাও। এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী আরও লেখেন, ‘‘ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’’

তবে এ বার অলৌকিক কিছু চাইছেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার সেরে ওঠা নিয়ে তাঁর মনেও কি দেখা দিচ্ছে সংশয়?

ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সব্যসাচীই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সব্যসাচী লেখেন, ‘‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’’ সব্যসাচী আরও লিখেছিলেন, ‘‘জেনে রাখুন, মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে। সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’’ এই মুহূর্তে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক যেন সকলের কাছেই এক রূপকথা। গত দু’বারের মতো এ বারও যাতে লড়াই করেন সেই কামনাই করছেন তাঁর অনুরাগীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement