(বাঁ দিক থেকে) নুসরত জাহান, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিকেট জ্বরে মজে সারা দেশ। রবিবারের অপেক্ষায় সবাই। কারণ, এ দিনই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালের স্মৃতি এখনও রয়ে গিয়েছে অনেকের মনে। টলিউড থেকে বলিউড— তারকারাও নিজেদের সব কাজ বন্ধ রেখে ফাইনালের দিকে তাকিয়ে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল খেলেছে ভারত। স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল বলি তারকায়। কলকাতায় ইডেন গার্ডেন্সের ম্যাচেও স্টেডিয়ামে দেখা গিয়েছিল টলিপাড়ার অভিনেতাদের। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচের জন্য কতটা উত্তেজিত টালিগঞ্জের তারকারা? খোঁজ নিল আনন্দবাজার অনলাইন।
অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যকে মাঠেই দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ম্যাচে। এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রয়েছেন তিনি। দেখা করেছেন ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গেও। ফলে আরও উত্তেজিত অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনকে নীল বললেন, “সত্যিই আমি উত্তেজিত। আমদাবাদ যাচ্ছি না। বাড়ি থেকেই ভারতের জন্য গলা ফাটাব। আমার সৌভাগ্য, এমন সুযোগ পেয়েছিলাম এ বছর। মাঠে নেমে সকলকে দেখেছি। আর আমার প্রিয় তো এক জনই, তিনি বিরাট কোহলি।”
ইডেনে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্তও। নায়িকা তথা তৃণমূল সাংসদ বললেন, “রবিবারের ম্যাচের জন্য আমি খুব উত্তেজিত। এ বার ভারত এত ভাল খেলেছে। আমি তো ভাবছি, ফাইনালেও কি বিরাট সেঞ্চুরি করবে? তা হলে তো আরও জমে যাবে। আর একটা ম্যাচ ভাল খেললেই ট্রফি আমাদের।”
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় যে খেলা ভালবাসেন সে কথা সকলেরই জানা। ক্রিকেট নিয়ে তিনি রীতিমতো চর্চাও করেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “ক্রিকেটের সিজ়নে অন্য কিছুতে কোনও দিনই মন দিই না। বিরাট, রোহিত শর্মা, অন্য দিকে মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা— প্রত্যেকেই আমার প্রিয়। ২০০৩ সালে যে কষ্টটা পেয়েছিলাম আশা করা যায়, সেই দুঃখ মিটবে এই রবিবার।”
ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহানের প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফাইনালের দিন কী পরিকল্পনা অভিনেত্রীর? আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “আমদাবাদ তো যেতে পারছি না। বাবার সঙ্গে খেলা দেখার পরিকল্পনা আছে। ইন্ডিয়ার জার্সিটা কিনেছি কি এমনি? বাড়িতেই ভারতের জার্সি পরে হুল্লোড় করব। কোহলি আমার প্রিয়। জানেন তো, শুভমনের উপরও আমার একটা ভাল লাগা তৈরি হয়েছে।”