সুবান এবং তিয়াসা।
জন্মদিন তাঁর কাছে দুর্গাপুজোর মতো। সে কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে আগেই জানিয়েছিলেন ‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াসা রায়। গত সোমবার জন্মদিন চলে গেলেও উদ্যাপন তাই অব্যাহত। স্টুডিয়োপাড়ার হাঁকডাক থেকে দূরে বিশেষ দিনটা বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে মন্দারমণি পাড়ি দিয়েছেন ‘কৃষ্ণকলি’। এখনও রয়েছেন সমুদ্রপারের বিলাসবহুল রিসর্টেই। সেখান থেকেই ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন উদ্যাপনের সাতকাহন।
অনুরাগীদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন আগেই। বন্ধুদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিয়াসার জন্য তিন রকমের কেক নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। তিন বার তিন রকম কেক কেটেছেন তিনি। প্রত্যেক বার কেক কাটার জন্য আলাদা আলাদা সাজে সেজে উঠেছিলেন ‘বার্থ ডে গার্ল’। বন্ধুরা যে তাঁর জন্য এত আয়োজন করবেন, তা ভাবতেই পারেননি তিয়াসা! উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী বললেন, “বন্ধুরা বলেছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমার জন্মদিনের উদ্যাপন চলবে। মাঝরাতেও আমাকে ঘুম থেকে তুলে কেক কাটিয়েছে ওরা। এত আনন্দ করেছি!”
এই তো গেল বন্ধুদের কথা। কিন্তু স্বামী সুবান রায়? উদ্যাপনে তিনি নেই কেন? তিয়াসা জানালেন, এই মুহূর্তে শ্যুটে ব্যস্ত সুবান। ইচ্ছে থাকলেও তাই বিশেষ দিনে থাকতে পারেননি তিয়াসার সঙ্গে। তা নিয়ে যদিও বিশেষ মন খারাপ করছেন না ‘কৃষ্ণকলি’। তাঁর কথায়, “ওর সঙ্গে তো অনেক জন্মদিন কাটিয়েছি। দূরে দূরে থাকলে ভালবাসা বেড়ে যায়।”
সুবানের থেকে কী উপহার নেবেন, সেই চিন্তা ভাবনা অনেক আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাবনা চলছে ভাবনার মতোই। স্বামীর কাছে এখনও কোনও আবদারই রাখতে পারেননি তিনি। “উপহার চাওয়ার অনেক সময় আছে। যখন নেব, বড় উপহারই নেব,” কথা শেষ হতেই হেসে উঠলেন তিয়াসা।
শোনা যাচ্ছিল, স্বামী সুবান রায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হতে পারে ‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াসা রায়ের। সুবানের সঙ্গে আগাম দিনযাপনের কথা বলে অচিরেই সেই গুঞ্জন নস্যাৎ করলেন তিয়াসা।