সরিতা, মিমি, নুসরত
ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা গ্রেফতার হওয়ার পরে দিন কুড়ি অতিক্রান্ত। স্বভাবতই তাঁর প্রযোজনা সংস্থা খানিক বিপাকে। তবে ছবি-প্রযোজনার বাইরেও শ্রীকান্তের একটা বৃত্ত রয়েছে, যেখানে তিন নারীর আনাগোনা নির্বিবাদে মেনে নেওয়া যায়। তাঁরা হলেন সরিতা মোহতা, নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী। শ্রীকান্তের জীবনে তাঁদের ভূমিকা ব্যক্তিগত হোক বা পেশাদার— তিন জনের গুরুত্ব নানা কারণেই অস্বীকার করা যায় না। তাঁর গ্রেফতার হওয়ার পরে এঁরা কী বলছেন, শুনে নেওয়া যাক...
শ্রীকান্তের প্রাক্তন স্ত্রী সরিতা। ২০১৭-র শেষে শোনা গিয়েছিল, দু’জনের বিচ্ছেদ হতে চলেছে। শেষ অবধি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছয় এবং সেখানেই বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয় শ্রীকান্ত-সরিতার। যদিও দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি এই বিষয়ে। সরিতা এখনও সোশ্যাল নেটওয়র্কিং সাইটে পদবি হিসেবে মোহতাই ব্যবহার করেন। শোনা যায়, ওই সময়ে নুসরত জাহানের সঙ্গে শ্রীকান্তের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলেই সম্পর্কে ভাঙন ধরে। শ্রীকান্তের গ্রেফতারির পরে সরিতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘শ্রীকান্ত মোহতাকে নিয়ে একটা কথাও আমি বলব না।’’
নুসরত-শ্রীকান্তের সম্পর্ক নিয়ে বহু গুঞ্জনের সূত্রপাত হলেও নুসরত বরাবরই অস্বীকার করে গিয়েছেন। তবে সেই সম্পর্কও ক্রমশ ঘনিষ্ঠতা থেকে তিক্ততায় পৌঁছয় বলে শোনা যায়। তার জেরে ভেঙ্কটেশের সঙ্গে নুসরত সাম্প্রতিক কালে কোনও ছবিও করছেন না। এ রকম আবহে কী বলছেন নায়িকা? ‘‘আপাতত হাতে কোনও ছবি নেই বলে আমার উপরে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে কতটা সুমধুর সম্পর্ক ছিল জানি না। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক। আমি এখনও ওদের পাশে রয়েছি। কিন্তু গ্রেফতারের পিছনের কারণ সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। তাই এ বিষয়ে কমেন্ট করব না। আমি আপাতত শো নিয়ে ব্যস্ত। যেটুকু জেনেছি, তা টেলিভিশন মারফত,’’ স্পষ্ট বয়ান নায়িকার।
নুসরতের পরে এখন ভেঙ্কটেশের প্রধান নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। শ্রীকান্ত পছন্দও করেন মিমিকে আর নায়িকাও বরাবর এই প্রযোজককে মেন্টর বলে এসেছেন। গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘শ্রীকান্তদা আমার পরিবারের মতো। ওঁদের হাত ধরে বড় হয়েছি। কিন্তু শ্রীকান্তদার গ্রেফতার হওয়া নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
এটা তো ভাল খবর নয়। খুবই খারাপ লেগেছে। আমি চাই, সকলে ভাল থাকুক। আর সকলের যাতে ভাল হয়, এটাই জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করি।’’
সবার মন্তব্য বিচার করে দেখা যাচ্ছে, কাছে-দূরের মানুষরা যে প্রত্যেকেই এমন সময়ে খানিক আঁচ বাঁচিয়েই চলতে চান, সেটা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।