'অযোগ্য' ছবিতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা সংগৃহীত চিত্র।
পর্দায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অথচ, নায়িকা অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। নায়ক সেটা দূর থেকে দেখছেন।
জুটির ৫০তম ছবিতে এই দূরত্ব কি মানা যায়? কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও সেটা অনুভব করেছেন। তাই তাঁর ছবি ‘অযোগ্য’র তৃতীয় গানে একটু একটু করে ভালবাসায় ভাসিয়েছেন। পর্দায় জুটি মনের আগল খুলেছেন ‘জানবে না কেউ’ গানে। সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। লিখেছেন কে? সে গল্প পরে। প্রকৃতিও গত রাত থেকে অঝোরে ঢেলে চলেছে বারিধারা। ভেজা দিনে ভালবাসা-আবেগ-ব্যথা মেশা গান প্রকাশ্যে আসতেই ১২ হাজার শ্রোতা শুনে ফেলেছেন। গানটি কি নিছকই ছবির আর পাঁচটি গানের মতো একটি গান? নাকি তাতেও গল্প রয়েছে?
জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল সুরকার ইন্দ্রদীপের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘দুটো গল্প আছে। এক, এই গানটি ক্লাইম্যাক্সে দেখানো হবে। একটু একটু করে কাছে আসছেন বুম্বাদা-ঋতুদি। একটু একটু করে ভালবাসার কথা বলছেন। কৌশিকদার তাই নির্দেশ ছিল, ‘বেশি ব্যথা মিশিও না। নয়তো দর্শক বিরহ ভেবে ভেঙে পড়বেন’।” সেই অনুযায়ী সুর করে তিনি শোনান পরিচালককে। শুনে কৌশিকের এতটাই ভাল লেগেছিল যে, তিনিই গানের কথা লেখার দায়িত্ব তুলে নেন। যার ফলাফল এই গান। এবং সুরকারের দাবি, এটিই গানের দ্বিতীয় গল্প।
অরিজিতে মুগ্ধ ইন্দ্রদীপ। নিজস্ব চিত্র।
আরও এক বার পর্দার জন্য নেপথ্য জুটি ইন্দ্রদীপ-অরিজিৎ...। কথা ফুরনোর আগেই সুরকারের বক্তব্য, ‘‘প্রথম দিন থেকে অরিজিৎ আমার গানের মূল্যায়ন করেছে। সেটা ‘বোঝে না সে বোঝে না’ হোক, কিংবা ‘খাদ’ ছবির ‘দেখো আলোয় আলো আকাশ’। ওর মতো প্রেম বা বিরহের গান এই মুহূর্তে আর কেউ ফোটাতে পারে না। ফলে, আমার প্রথম এবং শেষ পছন্দ অরিজিৎ।” ইতিমধ্যেই ফোনের পরে ফোন পাচ্ছেন সুরকার। গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রত্যেকে। সঙ্গে অরিজিৎকে বেছে নেওয়ার জন্য তারিফ। ইন্দ্রদীপের আশা, ছবির গল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে গানটির। তাই তাঁর অন্যান্য জনপ্রিয় গানের মতো এই গানটিও সবাই আলাদা করে শুনবেন।