একটানা পর্দার সামনে যাঁরা অভিনয় করে চলেছেন, প্রযুক্তিগত দিকগুলি কিন্তু তাঁদের জানতেই হয়। একটানা পরিশ্রম করে সহকারী পরিচালকের কাজও করেছেন বলিউডের বেশ কিছু তারকা। কেউ কাজ শুরু করেছিলেন পরিচালনা করবেন বলে। কেউ বা চেয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে আসার আগে খুঁটিনাটি জেনে নিতে। কোন বলিউড তারকারা সহকারী পরিচালক হিসাবে ডেবিউ করেছিলেন জানেন?
সোনম কপূর: অনিল কপূরের কন্যা সোনমের কিন্তু বলিউডে ডেবিউ হয়েছিল সহকারী পরিচালক হিসাবেই। সঞ্জয় লীলা ভন্সলীর ছবি ‘ব্ল্যাক’-এ সহকারী পরিচালকের কাজ করেছিলেন সোনম। নায়িকা হিসাবে নিজের ডেবিউ ছবি ‘সাওয়ারিয়া’-তেও সঞ্জয়কে সাহায্য করেছেন সোনম। নিজে শেখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি, জানিয়েছিলেন কর্ণ জোহরের একটি শোয়ে।
বলি ইন্ডাস্ট্রির মেধাবী অভিনেতা ভিকি কৌশল। ‘মাসান’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবিতে ভিকি কাজ করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসাবে।
অর্জুন কপূর: বাবা বনি কপূরের একাধিক ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজ করেছেন অর্জুন। কর্ণ জোহরের ‘কাল হো না হো’ ছাড়াও পরে ‘নো এন্ট্রি’, ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতেও সহকারী পরিচালকের কাজ করেছেন তিনি।
রণবীর কপূর ‘ব্ল্যাক’ এবং ‘আ আব লওট চলে’ ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজ করেন। তার পরে ক্যামেরার সামনে তাঁকে দেখা যায় ‘সাওয়ারিয়া’ ছবিতে।
ভূমি পেডনেকর নজরে পড়েন ‘দম লাগাকে হাঁইসা’ ছবিতে। বর্তমানে বেশ কিছু বলিউড ছবিতেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে তার আগে যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে ছয় বছর সহকারীর কাজ করেছেন ভূমি। কাজ করেছেন কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবেও।
হৃত্বিক রোশন ছবিতে কাজ করার ব্যাপারে বেশ একনিষ্ঠ। ‘খুদগর্জ’, ‘কিং আঙ্কল’, ‘করণ-অর্জুন’, ‘কোয়েলা’-তে বাবা রাকেশ রোশনকে সাহায্য করেছেন তিনি।
সানিয়া মলহোত্র নজরে এসেছিলেন ‘দঙ্গল’-এ। পরে দেখা গিয়েছে ‘বাধাই হো’, ‘পটাখা’ ছবিতেও। সানিয়াও আমির খান প্রোডাকশনে বহু দিন সহকারী পরিচালনার কাজ করেছিলেন।
বরুণ ধওয়ন, সিদ্ধার্থ মলহোত্র দু’জনেই ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজ করেছিলেন। পরে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবিতে ডেবিউ হয় তাঁদের।
সিদ্ধার্থ মলহোত্র ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে শাহরুখের থেকে কাজ শেখার কথা বলেছেন বারবার।