রাজ-সৃজিতের অন্তরঙ্গ আড্ডার মুহূর্তও বন্দি করেছেন রুদ্রনীল।
নন্দন প্রেক্ষাগৃহে ছবি-মুক্তি নিয়ে রাজ-সৃজিতের হালকা দ্বন্দ্বের জন্ম। সে সব ধুয়েমুছে সাফ বুধবার রাতে। রুদ্রনীল ঘোষের বাড়ির জমাটি আড্ডায়। টলিউডের রেওয়াজ, ব্যস্ততার মধ্যেও অবসর খুঁজে পার্টির আয়োজন। খানাপিনার সঙ্গে গল্পগুজবও থাকে। থাকে কাজের কথাও। সে রকমই এক আসর বসিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান। সেখানেই হাসিমুখে ফ্রেমবন্দি সৃজিত মুখোপাধ্যায়-রাজ চক্রবর্তী। ‘নন্দন-কাণ্ড’ কি অতীত? রাজের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
বিধায়ক-প্রযোজক-পরিচালকের ঝটিতি জবাব, ‘‘এ রকম আড্ডা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রায়ই হয়। আমরা ভাগ করে নিই, কবে কার বাড়িতে আড্ডা বসবে। এ দিনের আড্ডা নিতান্তই অ-কাজের ছিল। গল্প করব বলেই সবাই এক ছাদের নীচে জড়ো হয়েছিলাম।’’ তার পরেই তাঁর দাবি, ‘‘কাজের কারণে কখনও কখনও হয়তো আমাদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়। আদতে আমরা কিন্তু কেউই কারও শত্রু নই! এই বন্ধুত্বে রাজনীতিও ছায়া ফেলে না।’’
রুদ্রনীলের বাড়িতে এ দিন সস্ত্রীক রাজ চক্রবর্তী ছাড়াও দেখা গিয়েছে সোহিনী সরকার, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, দেবালয় ভট্টাচার্যকে। সুযোগ বুঝে রাজ-সৃজিতের অন্তরঙ্গ আড্ডার মুহূর্তও বন্দি করেছেন রুদ্রনীল।
ঝঞ্ঝাট সামলে নন্দনে সৃজিতের ‘X=প্রেম’ মুক্তি পেয়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। বন্ধু রাজের কি এর পিছনে কোনও ভূমিকা রয়েছে? বিধায়ক-পরিচালক স্পষ্ট জানিয়েছেন, সৃজিত তাঁর নিজের প্রতিভার জোরে নন্দনে জায়গা করে নিয়েছেন। এখানে কারও কোনও হাত নেই। যুক্তি, ‘‘হয়তো প্রথম সপ্তাহে কোনও শো ফাঁকা ছিল না। তাই সৃজিতকে জায়গা দিতে পারেননি নন্দন কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া, আমি কখনও নন্দনের শো নিয়ে কোনও কথা বলি না। এই ব্যাপারে আমার কোনও ভূমিকা নেই।’’