দেখতে অবিকল অরিজিৎ, নিমেষে ভাইরাল ভিডিয়ো। —ফাইল চিত্র।
চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। গালে হালকা দাড়ি। গালে স্মিত হাসি। মাথায় পাগড়ি। একমনে তিনি গেয়ে চলেছেন ‘ভুলভুলাইয়া’ সিনেমার বিখ্যাত গান। কার কথা হচ্ছে বুঝতে পারছেন? বিশেষণ শুনে প্রথমেই মাথায় আসবে একটাই নাম। তিনি অরিজিৎ সিংহ। মাথায় পাগড়ি আর স্মিত হাসি তো তাঁরই চিহ্ন। একঝলক সেই ভিডিয়ো দেখে অবশ্য চমকে গিয়েছিল সবাই। সেই হাসি, সেই লুক— তবে মানুষটা আলাদা। তাঁকে একঝলক দেখলে মনে হবে সামনে তো অরিজিৎ রয়েছেন। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা একদমই তা নয়।
যুবককে দেখে রীতিমতো অনেকেই ভুল করেছেন। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো ভাইরাল তা দর্শক মহলে। তবে, সেই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর সঙ্গে অরিজিতের তুলনা করায় অবশ্য রেগে লাল গায়কের ভক্তরা। উড়ে এসেছে নানা ধরনের মন্তব্য। কেউ লিখেছেন, “এমন হাসি দিলেই কি অরিজিৎ হওয়া যায়!” আবার কয়েক জনের মন্তব্য, “কার সঙ্গে কার তুলনা।” অনেকের বক্তব্য, “এ তো গরিবের অরিজিৎ সিংহ, অরিজিৎ লাইট।” ফেসবুক রিলের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়ো।
সদ্য জন্মদিন গিয়েছে অরিজিতের। তাঁর জন্মদিনে গায়কের ভক্তদের মধ্যে কম উত্তেজনা ছিল না। ছেলের জন্মদিনে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন অরিজিতের বাবা। সেই দিন ক্ষুধার্তদের মুখে অন্ন তুলে দেন সুরিন্দর সিংহ। জিয়াগঞ্জে একটি রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর। সেখানেই দুঃস্থ শিশুদের জন্য ভোজের আয়োজন করেন সুরিন্দর।
একের পর এক কচিকাঁচা তৃপ্তি করে খেয়েছে। প্রাণভরা হাসি নিয়ে বেরিয়েছে সেই রেস্তরাঁ থেকে। মঙ্গলবার এমনই এক দল কচিকাঁচার দেখা মিলল অরিজিতের বাবার রেস্তরাঁয়। প্রায় ৩৫ জন পথশিশু খাবার খায় তাঁদের হোটেলে। শুধু পথশিশু নয়, ওই দিন সুরিন্দরবাবুর রেস্তরাঁর দরজা খোলা ছিল সকলের জন্যই। অরিজিতের বাবা সুরিন্দর সিংহ ওরফে কাক্কা সিংহ বলেন, ‘‘প্রতিদিন তো ব্যবসা করি। ছেলের জন্মদিনে প্রতি বারের মতো এ বারও সবার জন্য হেঁশেলের দরজা খোলা রেখেছিলাম। প্রচারের জন্য নয়, মানুষের পাশে দাঁড়াতে।’’