গরিব অসহায় চাষিদের হয়ে এই লড়াই যেন রানিমার সাহসিকতার আরও এক নিদর্শন।
অত্যাচারী নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন রানিমা। তাদের কব্জা থেকে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ছাড়িয়ে আনার জন্য তাঁর বাড়ির মেয়েরা হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছিলেন। আবার দীনবন্ধু মিত্রের নাটক চলাকালীন বাড়িতে পুলিশ এলে, রানিমা মিথ্যা বলে সেই যাত্রায় বাঁচিয়েছেন সকলকে। গরিব অসহায় চাষিদের হয়ে এই লড়াই যেন তাঁর সাহসিকতার আরও এক নিদর্শন। দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাওয়া এই প্রত্যেকটি পর্বের নেপথ্যে রয়েছে অনেক গবেষণা।
ধারাবাহিকের এগজিকিউটিভ প্রোডিউসার অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলছেন, “রাসমণির গল্প তো পুরোটা কাল্পনিক নয়। তাঁর জীবনী থেকে যেমন কিছুটা নেওয়া হয়েছে, তেমনই সেই সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাও আমরা ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এর আগে সিপাহী বিদ্রোহ দেখানো হয়েছিল, এ বার নীল বিদ্রোহ।”
কিন্তু প্রত্যেকটি ঘটনাকে ধারাবাহিকে নিয়ে আসার আগে তা নিয়ে চলে দীর্ঘ গবেষণা। দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণির পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, বিভিন্ন বইপত্র ঘেঁটে এক একটি পর্বের শ্যুটিং করা হয়। অনির্বাণ জানালেন, দিতিপ্রিয়া নিজেও কখনও কখনও পড়াশোনা করে নেয় কোনও বিশেষ পর্বে শ্যুটের আগে। অনেক সময়েই উইকিপিডিয়া সার্চ করে পড়াশোনা করতে দেখা যায় দিতিপ্রিয়াকে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের রাস্তায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত, বললেন কঙ্গনা
নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে লড়াই দেখাতে পেরে খুশি ধারাবাহিকের গোটা টিম। তাদের বিশ্বাস, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ আরও এক বার মানুষকে ভারতের ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। দর্শকদের সঙ্গে তাই সরাসরি যোগস্থাপনে বিশ্বাসী তাঁরা। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত জানতেও আগ্রহী। অনির্বাণের কথায়: “কেউ যদি কোনও ভুল ধরিয়ে দেয়, সেটাও আমরা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি।”