(বাঁ দিকে) দেবলীনা দত্ত এবং তথাগত মুখোধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময়ে টলিপাড়ায় চর্চিত দম্পতি ছিলেন তথাগত মুখোধ্যায় ও দেবলীনা দত্ত। বছর তিনেক আগে ভিন্ন যাপন শুরু করেন তাঁরা। তবে তাঁদের আইনি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমনটা নয়, কিন্তু ছাদ আলাদা হয়েছে তাঁদের। শোনা যায়, দেবলীনা-তথাগতের দাম্পত্যে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে। তিনি অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। দেবলীনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একই জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় ছবি দিতে দেখা গিয়েছি বিবৃতি-তথাগতকে। কখনও সমুদ্রতটে, কখনও আবার জানলার কাচের প্রতিবিম্বে। যদিও কখনওই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি তাঁরা। এমনকি দেবলীনা নিজেও তথাগত ও বিবৃতির সম্পর্কের গুঞ্জনে তেমন পাত্তা দেননি। তবু কেন আলাদা হলেন? সেই কারণ অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আনেননি দু’জনের কেউই। এ বার নিজের সঙ্গে আজীবন টিকে যাওয়ার প্রসঙ্গে অনুভূতি ব্যক্ত করলেন তথাগত।
তথাগত সমাজমাধ্যমে সক্রিয়। নিজের মতামত, চিন্তাভাবনা সবই তুলে ধরেন সেখানে। একই সঙ্গে মানুষ হিসাবে তিনি চাপা স্বভাবের, সে কথাও জানিয়েছেন। কিন্তু দেবলীনা-তথাগত-বিবৃতি, এই ত্রয়ীর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু তাঁর অবস্থান কোথায় সেটাই জানিয়ে দিলেন তথাগত। তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনও চাইনি কেউ শুধু টিকে যাক আমার সঙ্গে আজীবন। আমি কখনও চাইনি এক বুক কষ্ট নিয়ে কেউ আমার সঙ্গে ভাল থাকার গল্প বলুক সবাইকে। আমি কখনও চাইনি কেউ বিরক্তি নিয়ে ঘামতে ঘামতে আমার জন্য রান্না করে হাসিমুখে দাঁড়াক দরজার সামনে। আমি কখনও চাইনি কেউ অভিমান লুকিয়ে আমার সঙ্গে পাহাড়ের ঢালে চুপ করে বসে থাকুক। আমি কখনও চাইনি কেউ আমাকে ভাল রাখার জন্য নিজের ভাল থাকাগুলো ছেড়ে দিক। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলুক এ ভাবেই কেটে যাক জীবন।’’
যদিও বিভিন্ন সময় দেবলীনা নিজেই বলেছেন, ‘‘তথাগতকে ভালবাসার জন্য তাঁর সঙ্গে থাকার প্রয়োজন নেই।’’ আবার কখনও বলেছেন, ‘‘তথাগতের সঙ্গে কাটানো সময় তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।’’ তিনি এ-ও বিশ্বাস করেন, তথাগত কারও সঙ্গে সম্পর্কে সত্যিই থাকলে সেটা নিজেই স্বীকার করতেন। যদিও তাঁর ও বিবৃতির বিভিন্ন সময়ের ছবি নিয়ে নানা ফিসফাস রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। বিচ্ছেদের পর দেবলীনার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে তেমন কিছু না বললেও তথাগত নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘আমি চেয়েছি আমাকে স্বীকার করুক... যেমনটা আমি নিজেকে স্বীকার করেছি নিজের কাছে।’’