(বাঁ দিক থেকে) নানা পটেকর, তনুশ্রী দত্ত, ইমরান হাসমি। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর ফের ‘মিটু’ বিতর্কে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া-সহ গোটা দেশ। নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে অভিনেত্রীর নাম। তবে, তনুশ্রীর শুরুটা হয় ‘আশিক বনায়া আপনে’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন ইমরান হাসমি। ছবিতে ছিল বেশ কিছু সাহসী দৃশ্যও। ২০০৫ সালে দাঁড়িয়ে যা অনেকের নজর কেড়েছিল । তার পর ‘চকোলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’ (২০০৫) এবং ‘গুড বয়, ব্যাড বয়’ (২০০৭) ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন তাঁরা। কিন্তু ‘আশিক বনায়া আপনে’ ছবিতে তনুশ্রী-ইমরানের গভীর চুম্বনের চর্চা এখনও শোনা যায়। সম্প্রতি সেই চুম্বন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তনুশ্রী। ইমরানের সঙ্গে চুম্বন নাকি বেশ অস্বস্তিদায়ক ছিল।
পর পর তিনটে ছবি একসঙ্গে করেছেন তাঁরা। একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। তবু ইমরানের সঙ্গে পর্দার বাইরে নাকি কোনও রসায়নই নেই তাঁর, মত তনুশ্রীর। এ দিকে ইমরান প্রসঙ্গে চলতি একটি ধারণা রয়েছে দর্শকদের, চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করতে তাঁর মতো নাকি কেউ পারেন না। ‘সিরিয়াল কিসার’ বলেও ডাকা হয় বি-টাউনের এই অভিনেতাকে। তবে তনুশ্রীর অবশ্য ভিন্ন মত। তিনি জানান, ইমরান নাকি একেবারেই ভাল নন চুম্বনের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী বলেন, ‘‘ইমরান আমার জন্য শুধুই একজন সহ-অভিনেতা। আমি ওর সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি। ‘চকোলেট’-এও একটি চুম্বন দৃশ্যের শ্যুটিং ছিল। সেটা যদিও পরে ব্যবহার করা হয়নি। প্রথম ছবিতে ওর সঙ্গে চুমুর দৃশ্য একেবারেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। পরে অস্বস্তি আরও বাড়ে। আমাদের পর্দার বাইরে আসলে কোনও রসায়নই নেই। ওর একটা ‘কিসার বয়’ ভাবমূর্তি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু চুমুর ক্ষেত্রে ও খুব একটা আরামদায়ক নয়, আমিও নই।’’