তনুজার হাতে মার খেতেন কাজল!
দুষ্টুমি থামছেই না। এক সময়ে মেজাজ হারালেন মা। ছুড়ে মারলেন হাতের কাছে যা ছিল! ছোটবেলায় অনেকেরই হয়তো দিন কেটেছে এ ভাবে। জানেন কি, সেই তালিকায় ছিলেন কাজলও? মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন পর্দার ‘সিমরন’।
ছোটবেলায় নাকি বেশ দুষ্টু ছিলেন কাজল। সামলাতে বোধহয় হিমসিম খেতেন মা তনুজা। এবং তখনই মেজাজ উঠত সপ্তমে! সংবাদ সংস্থাকে অভিনেত্রী হাসতে হাসতেই বলেন, ‘‘মা ছিল ভীষণ কড়া। ব্যাডমিন্টন র্যাকেট থেকে থালা, যা হাতে পেত, ছুড়ে মারত আমায়। আমার দিকে এ ভাবে উড়ে আসা জিনিসপত্রের তালিকাটা কিন্তু বেশ লম্বা!’’
হারানো দিনগুলোর স্মৃতি এই বড়বেলায় এসে তাজা হয়েছে নতুন করে। কাজলের মনে পড়ে গিয়েছে, বাবা সমু মুখোপাধ্যায় তাঁর নাম রাখতে চেয়েছিলেন ‘মার্সিডিজ’! ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর অঞ্জলি বলেন, ‘‘বাবার যুক্তি ছিল— ওই গাড়ির সংস্থার মালিক মার্সিডিজ নাম রেখেছিলেন নিজের মেয়ের নামে। তা হলে আমিও আমার মেয়ের সেই নাম রাখতেই পারি।’’ শেষমেশ অবশ্য কাজলের আর ‘মার্সিডিজ’ হওয়া হয়নি!
১৯৭৩ সালে পরিচালক সমু মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন তনুজা। তার পরে একে একে দুই মেয়ে কাজল ও তনিশার জন্ম। কাজল তখন সাড়ে চারের একরত্তি। বিয়ে ভেঙে যায় বাবা-মায়ের। দুই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান তনুজা। প্রাক্তন স্বামী বা মুখোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অবশ্য নষ্ট হয়নি। বরাবরই দুর্গাপুজো-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেয়েদের নিয়ে সামিল হয়ে আসছেন তনুজা। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০০৮ সালে মারা যান সমু।
অজস্র হিট ছবির নায়িকা কাজল অজয় দেবগণকে বিয়ে করে বলিউড থেকে সরে গিয়েছিলেন। ঘোরতর সংসারী হয়ে দুই ছেলেমেয়েকে নায়সা ও যুগকে বড় করার পরে একটু একটু করে আবার ফিরে এসেছেন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়। গত বছর ওটিটি ছবি ‘ত্রিভঙ্গ’-য় শেষ বার দেখা গিয়েছে তাঁকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।