তমন্না ভাটিয়া। ছবি : সংগৃহীত।
প্রায় দু’দশকের বেশি সময় তিনি কাজ করছেন দক্ষিণী ও হিন্দি ছবিতে। কোনও বিরতি না নিয়েই একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন তমন্না ভাটিয়া। যদিও কেরিয়ারে মারকাটারি হিটের সংখ্যা কম। তবে ‘বাহুবলী’-র মতো সফল ছবিতে অভিনয় করার পরু থেকে কাজের অভাব নেই তমন্নার। তেমনই ঊর্ধ্বমুখী অভিনেত্রীর পারিশ্রমিক। এই দিক থেকে তিনি টেক্কা দিতে পারেন তাবড় নায়িকাদের। বলিউড থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি— চুটিয়ে কাজ করছেন তমন্না। কাজ ছাড়াও তিনি বর্তমানে চর্চায় রয়েছেন অভিনেতা বিজয় বর্মার সঙ্গে তাঁর সমীকরণের কারণে। জানেন কি, অভিনেত্রীর কাছে রয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ হিরের আংটি। তা হলে কি বিজয়ের সঙ্গে চুপিচুপি বাগ্দান সেরে ফেলেছেন তমন্না! না কি এই আংটি দিয়েছেন অন্য কেউ?
বিজয়-তমন্নাকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ ছবিতে। যে ছবিতে এত বছরের প্রতিজ্ঞা ভেঙে পর্দায় চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তমন্না। অনেকে মনে করেন, বিজয়ের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। কাজের সূত্রেই তাঁরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন বলে জানা যায়। প্রায় ১৭ বছরের অভিনয় জীবনে কোনও দিন পর্দায় কোনও অভিনেতাকে চুম্বন করেননি তমন্না। তাঁর চুক্তিতে সব সময় উল্লিখিত থাকত এই শর্ত। ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এর জন্য প্রথম বার বিজয়ের জন্য নিজের প্রায় দু’দশকের এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁদের প্রেমের খবরে সরগরম মায়ানগরী। কেউ কেউ তো তাঁদের বিয়ের কথাও বলছেন। তবে তমন্নার সুবিশাল হিরের আংটি বিজয়ের দেওয়া নয়, বরং তা অভিনেত্রীকে দিয়েছেন অভিনেতা রাম চরণের স্ত্রী উপাসনা কোনিডেলা। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২ কোটি টাকা। কিন্তু অভিনেতা রাম চরণের স্ত্রীই তমন্নাকে এমন বহুমূল্য উপহার দিলেন কেন?
কারণ, ‘সাই রা নরসিমা রেড্ডি’ ছবিতে অভিনয় করেন তমন্না। যার প্রযোজক ছিলেন উপাসনা ও রাম চরণ। শ্বশুর চিরঞ্জীবীর স্বপ্নের ছবি ছিল ‘সাই রা নরসিমা রেড্ডি’। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী নরসিমার রেড্ডির জীবন দ্বারা অনুপ্রাণিত এই ছবি। যদিও বক্স অফিসে সে ভাবে সাফল্যের মুখ দেখেনি রাম চরণের বাবার স্বপ্নের ছবি, তবে ছবিতে তমন্না তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন। সেই সময় খুশি হয়েই প্রযোজক উপাসনার তরফ থেকে এই উপহার পান তমন্না।