‘শাবাশ মিথু’র প্রচারে ইডেন গার্ডেন্সে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, মিতালি রাজ এবং তাপসী পন্নু
ভরা বর্ষা। আষাঢ়ের আকাশে জমাট কালো মেঘে মুখ গোমরা তিলোত্তমার। বাইরে যখন অঝোর বৃষ্টি, ইডেনের আকাশে তখন এক চিলতে রোদের দেখা।
ঘন সবুজ ঘাসের গালিচা মাঠ জুড়ে। তাতে কমলা ট্রাউজার, সাদা জামায় মিতালি রাজ। পাশে হালকা নীল রঙের ট্র্যাকপ্যান্ট আর গেঞ্জিতে তাপসী পান্নু। সঙ্গে সাদা ধবধবে শার্ট এবং জিন্সে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। উপলক্ষ, মিতালির জীবন নিয়ে ছবি ‘শাবাশ মিতু’র প্রচার।
প্রাক্তন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট অধিনায়কের জীবনীচিত্র। ব্যাট, বল, সবুজ মাঠ সে ছবির পুরোটা জুড়ে। তার প্রচারের জন্য ইডেন গার্ডেন্সের চেয়ে ভাল জায়গা আর কী-ই বা হতে পারে! ২৯ বছর আগে হিরো কাপ ফাইনালে প্রথম ইডেন দর্শন হয়েছিল পরিচালক সৃজিতের। এখন নিজের ছবির প্রচারে আবারও সেই একই জায়গায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমার বৃত্তটা পরিপূর্ণ হল।’’
মাঠের মিডিয়া বক্সে তখন উপচে পড়ছে ভিড়। সাংবাদিকদের এক একটি প্রশ্নে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন তাপসী, মিতালি। পর্দার মিতালি এবং বাস্তবের মিতালি দু’জনেই যে ছক্কা মারতে সিদ্ধহস্ত! কিন্তু পর্দায় নিজের ভূমিকায় তাপসীকে কেমন লাগল বাস্তবের ‘মিতু’র? মিতালির কথায়, ‘‘ও অভিনয় করে নেবে জানতাম। কিন্তু ক্রিকেটটা আদৌ খেলতে পারবে কি না, মনে মনে বেশ ধন্দ ছিল। কিন্তু ছবিটা দেখে মনে আর কোনও প্রশ্ন নেই।’’
আর পর্দার ‘মিতু’? ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলোর প্রতি এক আলাদা আকর্ষণ নায়িকার। কিন্তু ম্যাচ গড়াপেটা ঘিরে বিতর্কের পরে রাগ করে ক্রিকেট দেখাই বন্ধ করে দেন তাপসী৷ তবে মাঠ, ক্রিকেট-প্রেম থেকে বেশি দিন দূরে থাকতে পারেননি। তারই ফসল আজকের ‘শাবাশ মিতু’। তাপসীর কথায়, ‘‘অভিনেতা হয়ে এক জীবনে এতগুলো চরিত্রে কাজ করতে পারা, সেটাই প্রাপ্তি।’’ মিতালি হয়ে ওঠায় কতটা সফল তাপসী? মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়ে এল পরিচালকের জবাব। সৃজিত জানান, তাপসী নাকি তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘যত ক্ষণ আপনি পারফেক্ট শট না পাচ্ছেন, থামবেন না। আমি শট দিতে থাকব।’’