বদলে গেলেন স্বীকৃতি! নিজস্ব চিত্র।
বদলে গেল ‘আলো’। বদলে গেল স্বীকৃতি মজুমদারের ‘লুক’! এত দিন তিনি জি বাংলার ধারাবাহিক ‘আলোর কোলে’তে অশরীরী ‘আলো’ ছিলেন। লাল শাড়িতে সেজে থাকা ব্যবসায়ী আদিত্যের মৃত ঘরনি। এক মাত্র মেয়ে পুপুল-এর অশরীরী মা। কিন্তু মেয়ে আর সংসারের প্রতি প্রবল টান তাকে মুক্তি দেয়নি। কোথাও না থেকেও সে সারা ক্ষণ বন্দি ছেড়ে যাওয়া সংসারে। ‘ভূত’ হয়ে আগলেছে মেয়েকে। অবশেষে তার মুক্তি। অদৃশ্য অবস্থা থেকে দৃশ্যমান হয়ে পুপুলের কাছে এসেছে বিদায় নিতে। তার স্বামী আদিত্যের বর্তমান স্ত্রী রাধাকে সে ভালবাসে। তাকেও সে তাই দেখা দিয়েছে। তার পরেই একদম আধুনিকা, ঝাঁ-চকচকে সাজে হাজির স্বীকৃতি!
তাঁকে নতুন রূপে দেখে কী বলছেন অনুরাগীরা? নতুন প্রচার ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আন্দবাজার অনলাইন। স্বীকৃতি বলেছেন, ‘‘ওঁরা একই সঙ্গে দুঃখ পেয়েছেন, আনন্দেও ভেসেছেন। দুঃখ, আলোর লাল শাড়ি আর দেখতে পাবেন না তাঁরা। খুশি, স্বীকৃতিকে অন্য রূপে দেখার আগ্রহ প্রবল ছিল তাঁদের। শখ মিটতেই খুব খুশি।’’ স্বীকৃতি নিজে কত খুশি? নায়িকার দাবি, ধারাবাহিক আবর্তিত এক অশরীরী মাকে নিয়ে। সে গল্প শুনেই তিনি রাজি হয়েছিলেন। কারণ, তিনি নতুন কিছু করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী, তাঁকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না— এই অনুভূতি মাথায় রেখে অভিনয় করতে হয়েছে। শুরুতে যথেষ্ট শক্ত লেগেছিল। পরে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এ বার তাঁর চরিত্রের পালাবদল। আশা, এই বদলও তিনি উপভোগ করবেন।
নতুন রূপে আলো। সংগৃহীত।
নতুন চরিত্রের নাম কী, সে কথা এক্ষুনি ফাঁস করতে রাজি নন অভিনেত্রী। এ বার তিনি এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। তাই আর লাল শাড়িতে নয়, আধুনিক পোশাকে দেখা যাবে তাঁকে। প্রচার ঝলকের শুটিং আপাতত করেছেন তিনি। এখনও নতুন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেননি। আলো আর রাধা, আদিত্যের অতীত আর বর্তমান কিন্তু বন্ধু ছিল। এ বার কি পরস্পরের জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বী? স্বীকৃতির মতে, ‘‘সেটা আগামী সম্প্রচার বলবে। দর্শকদের চাহিদাতেই গল্প বদলেছে। বাকিটাও তাঁদের পছন্দ বুঝে এবং চিত্রনাট্য মেনেই হবে।’’