Poila Baishakh 1432

কাঁধে এক কাঁদি কলা, চুলে হলুদ-বেগনি ফুল, সমুদ্রতটে আঁচল উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত স্বস্তিকার

“আমি এত দিন ওর আড়ালে এই কথা বলতাম। আজ প্রকাশ্যে এই কথা বলছি”, স্বস্তিকাকে নিয়ে কী বললেন পোশাকশিল্পী পরমা?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৯
Share:
Swastika Mukherjee’s new dress up with designer Parama new look reveals on Bengali new year

নববর্ষে কোন সাজে স্বস্তিকা? —নিজস্ব চিত্র।

পরমা ঘোষের নতুন শুরুয়াতের সব সময়ের শরিক স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সমস্ত পথচলার সঙ্গী তিনি। এই পোশাকশিল্পী-অভিনেত্রীর জুটি নববর্ষে তুলে ধরলেন নতুন সাজ। জ্যাকেট, টপ, টিউনিকে নিজেকে মেলে ধরলেন স্বস্তিকা।

Advertisement
Swastika Mukherjee’s new dress up with designer Parama new look reveals on Bengali new year

পুদুচেরিতে শুটিং ফ্লোরে কী কী হল? —নিজস্ব চিত্র।

পরমার কথায়, “আমি এত দিন ওর আড়ালে এই কথা বলতাম। আজ প্রকাশ্যে এই কথা বলছি। পরমার পোশাকে স্বস্তিকাকে যতটা সুন্দর লাগে, অন্য কোনও পোশাকে ওকে ততটা সুন্দর লাগে না। এটা আমার পক্ষপাত, ভালবাসা ও হিংসুটেপনার জায়গা থেকে বলছি। ওকে তো সুন্দর দেখায়ই, আমার জামাকাপড়গুলো আরও সুন্দর হয়ে যায়।”

Swastika Mukherjee’s new dress up with designer Parama new look reveals on Bengali new year

স্বস্তিকার সাজ নিয়ে কী বললেন পরমা? —নিজস্ব চিত্র।

সমুদ্রতটে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে নতুন ঋতুকে স্বাগত জানাচ্ছেন যেন। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে এই নির্মল হাসি, প্রাণোচ্ছল ব্যক্তিত্ব আর প্রকৃতির আমেজের মেলবন্ধন দেখে খানিক স্বস্তি মিলবে বইকি!

Advertisement

সমুদ্রতটে হালকা মেজাজে স্বস্তিকা। —নিজস্ব চিত্র।

হলুদ শাড়ির সঙ্গে সঙ্গত করেছে বেগনি রঙের ব্লাউজ়। পিঠের দিকে দক্ষিণী হরফে লেখা একটি শব্দ। কাঁধে এক কাঁদি কলা, চুলে হলুদ ও বেগনি ফুলের সাজ।

নতুন বছরে অভিনব সাজে স্বস্তিকা। —নিজস্ব চিত্র।

কালো প্রিন্টেড শাড়ির সঙ্গে বেজ রঙের ব্লাউজ়। অন্য ধরনের ডিজ়াইনের দৌলতে পিঠের দু’দিকের শরীরী হিল্লোল যে কোনও পুরুষ হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারে।

কাচের চুড়ি, খোঁপায় ফুল আর স্বস্তিকা। —নিজস্ব চিত্র।

পয়লা বৈশাখ বাড়ির সাধারণ অনুষ্ঠান। হালকা রূপটান আর খোঁপায় বেল ও জুঁই ফুল। পুদুচেরিতে শুটিং হওয়ায় ফুলের প্রাচুর্য। সে ফুলের বর্ণে-গন্ধে মাতোয়ারা শুটিং ফ্লোর।

ব্যক্তিত্ব আর সৌন্দর্যের মিশেল। —নিজস্ব চিত্র।

অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা থাকলেও অনেক সময় পছন্দসই পোশাক মেলে না। যেমন ওয়েস্ট কোট, বেনারসি কাপড়ের জ্যাকেট ইত্যাদি। স্কার্ট, ব্রোকেড টাই, টিউনিকের রমরমা ছিল নব্বইয়ের দশকে। সময়ের প্রবাহে সেই ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ সাজ হারিয়ে যায়।

অনলাইন শপিংয়ে পছন্দের পোশাক অমিল? —নিজস্ব চিত্র।


খুব সাধারণ প্রসাধনী দিয়ে স্বস্তিকা অন্য লুক দিতে পারেন, এমনই মনে করেন পরমা। স্টাইলিস্টের প্রয়োজন পড়ে না স্বস্তিকার জন্য।

স্টাইলিস্টের প্রয়োজন পড়ে না স্বস্তিকার শুটিংয়ে? —নিজস্ব চিত্র।

স্বস্তিকা বাড়িতে থাকা গয়নাগাটি, কাচের চুড়ি, ফিতে, টিপ, ফুল দিয়ে অনন্য ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছেন।

‘গার্ল নেক্সট ডোর’ স্বস্তিকা। —নিজস্ব চিত্র।

ছোটবেলার সাজ আরও এক বার ফিরে এল। পোশাকশিল্পীর কথায়, “আমাদের সময়ে যা পরতাম, তা-ই নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। নিজে যা কিছু পরতে চাই, আমার বন্ধুরা যা কিছু পরতে চায়, তা-ই বানিয়েছি। কখনও তো আমরা নিজেদের জন্য কিছু বানাই না”

ছবি: ফ্যাশন ডিজ়াইনার পরমা

মডেল: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement