মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' ছবিটি দর্শকদের কাছে প্রশংসিত। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ জানে না ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে চলছে...
ছবির প্রচারই তো হয়নি। মানুষের কাছে ছবিটা পৌঁছয়নি।
আপনি নিজেও তো এগিয়ে আসতে পারতেন...
দেখুন প্রেস কনফারেন্সে গিয়ে দেখলাম অর্ধেক সংবাদপত্র নেই। আমি কী করব? সোশ্যাল মিডিয়ায় যা করার করেছি। এই তো আপনি আমার সাক্ষাৎকার চাইলেন সঙ্গে সঙ্গে দিলাম। আমি যদি ডিস্ট্রিবিউটার বা প্রমোশনের বিষয়ে কথা বলতেও চাই। আমায় কথা বলতে দেবেটা কে? আর অভিনেত্রী, পরিচালক কারও তো এই বিষয়গুলো দেখা কাজ নয়।
ক্রাউড ফান্ডিং-এর ছবি। নতুন পরিচালক বলেই কী ছবির এই অবস্থা?
কেন বলুন তো আমরা ধরে নেব শুধু বড় ব্যানার আর স্টার পরিচালকরাই ছবি বানাবে? আর দর্শকরা সেটাই দেখবে। কারণ তাদের প্রচার খুব ভাল? আমি তো শুনেছি দর্শকরাই বলেন সেই এক মুখ বার বার দেখতে হয়।হাতে গোনা পরিচালকের ছবিই দেখে যেতে হয়। তো ? নতুন পরিচালক বা অভিনেত্রীর কাজ হলেও তো সেটা দেখার সুযোগ বাংলা ছবির দর্শকরা পাচ্ছেন না। এতগুলো আইনক্স এখন, একটাতেও 'কিয়া অ্যান্ড কসমস'-এর জন্য ভাল টাইমিং দেওয়া গেল না? আড়াইটে, তিনটের শো। সব জায়গায় খারাপ টাইমিং। আমরাই কি ওই সময় অফিস ছেড়ে হলে ছবি দেখতে যাব? তাহলে আমি দর্শকদের কাছে সেই আশা করব কী করে? এই যে আমরা সারাক্ষণ বলতে থাকি না বাংলা ছবি দেখুন, সাপোর্ট করুন, ভাবুন। এগুলো সব কথার কথা। ভাল কাজ করলেও সেটা যদি মানুষের কাছে না পৌঁছয় তাহলে কী লাভ বলুন তো?
আরও পড়ুন, পর্ন ছবিতে আমার আগ্রহ নেই, কঙ্গনাকে আক্রমণ পহেলাজের
'কিয়া অ্যান্ড কসমস'-এর রেসপন্স কেমন?
খুব ভাল। একটা নেগেটিভ রিভিউ নেই। আমার পরিচিত নয় এমন অজস্র মানুষের ছবিটা ভাল লেগেছে। আর আমার বাবা তো বিশ্ব নিন্দুক। আমার ছবি দেখতে গেছে তারপর অর্ধেক দেখে হল থেকে বেরিয়ে এসছে। এমন কতবার হয়েছে। বাবা 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' দেখে বলল 'অনেক দিন পর একটা ফ্ললেস ছবি দেখলাম। লবিবাজি না থাকলে ঋত্বিকা যে কিয়া করেছে সে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেতো'। অল্পবয়সী একটা মেয়ে এত ভাল অভিনয় করল। অথচ কী হল? কটা লোক জানছে সেটা? সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশন, পি আর কোনওটাই এই ছবির ক্ষেত্রে ঠিক হয়নি। প্রযোজক ভাবলেন ক্রাউড ফান্ডিং-এর ছবি, আমি এসে টাকা দিয়ে উদ্ধার করলাম ছবিকে। ভাল কথা। কিন্তু শুধু টাকা দিয়েই কী কাজ শেষ হয়ে যায় প্রযোজকের?
অজস্র মানুষের 'কিয়া অ্যান্ড কসমস' ভাল লেগেছে।
ওই কারণেই তো বড় ব্যানারে সকলে কাজ করতে চায়...
দেখুন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অনেক বড় ব্যানারেও কাজ করেছে। বড় স্টার, বড় পরিচালক, ব্যানার। কাজ করতে করতেই শুনেছি ছবিটা ব্লক ব্লাস্টার হবে। পরে দেখেছি হয়নি। তো? আমি নিজে কাজ করেছি বলেই বানিয়ে বানিয়ে তো বলব না ছবিটা দারুণ হয়েছে।আর কেউ বলুক না বলুক আমি তো বলব সত্যিটা কী। তাহলে? স্টার পরিচালকরা এত জায়গা পেয়েও সাংঘাতিক ব্লক ব্লাস্টার তো তৈরি করতে পারছেন না। সেখানে নতুন পরিচালক ভাল ছবি বানালে তাকে মানুষ অবধি পৌঁছবার সুযোগটা তো পাক। এটাই বলার।তবে এটাও ঠিক বড় ব্যানারে কাজ করলে ছবি রিলিজ হবে, ভাল প্রচার হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যায়।
আরও পড়ুন, আমিশার বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ
ছবি রিলিজ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছেন?
দেবারতি গুপ্ত-র ছবি করলাম। এক বছর হয়ে গেল। ছবিটা হলে রিলিজ হবে জেনেই অভিনয় করলাম। ওমা হঠাৎ জানলাম এই ছবি হলে আসবে না। ডিজিটাল রিলিজ হবে। এটার মানে কী? এটা খুব খারাপ হলো। কিন্তু কিছু করার ও নেই। এই তো অবস্থা।
তাহলে স্বস্তিকা কী করবেন? বড় ব্যানার, স্টার পরিচালক নাকি নতুন পরিচালক...
দেখুন আমি তো স্টারদের মতো বলতে পারি না সামনের ফেব্রুয়ারি অবধি আমার ডেট নেই। আমার ডেট আছে।আর বাবাও আছে। রোজ সিনেমা না করলে খেতে পাব না এমন নয়। তবে চিত্রনাট্য ভাল লাগলে কাজ করব।
দিল্লিতে শুটিংয়ে স্বস্তিকা।
আপনিও তো স্টার। নতুন পরিচালক, ক্রাউড ফান্ডিং-এর ছবিতে আপনাকে অ্যাফর্ড করা গেল?
অবশ্যই। চিত্রনাট্য ভাল লেগেছে বলে বা বন্ধুবান্ধবের কাজ বলে স্বস্তিকা কিন্তু অনেক ছবি বিনা পয়সাতেও করে দিয়েছে। এমনটাও নয় যে যার জন্য আমি ছবিটা বিনা পয়সায় করেছি সে পরে বড় কাজ করলে আমায় কাস্ট করেছে। সেটাও হয়নি। হয় না। মানুষেরও বোধ থাকবে। সেই বোধ অনুযায়ী সে রিঅ্যাক্ট করবে। আমি এমন আশা আজ আর করি না। নিজে ভেতর থেকে সম্মতি পেলে কাজ করি।
এক সময় মৈনাক ভৌমিকের ছবি মানেই স্বস্তিকা ছিল। এখন তেমন হচ্ছে না কেন?
মৈনাক এখন ছেলেদের নিয়ে কাজ করছে। আমার মনে হয় মেয়েদের নিয়ে ও আবার যখন কাজ করবে তখন আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
আরও পড়ুন, অমিতাভকে চড় মেরেছিলাম, প্রকাশ্যে বললেন নায়িকা!
স্বস্তিকা আর সৃজিতের প্রেম নাকি ফিরে এসেছে?
প্রেম কি হাওয়ার মতো হুশ করে ফিরবে আবার চলে যাবে?
'শাহজাহান রিজেন্সি'-র পরে নাকি পুরনো প্রেম ফিরে এসেছে?
তাই? আর 'শাহজাহান রিজেন্সি'-র পরেই অন্য এক নায়িকাকে নিয়ে সৃজিত বেড়াতে চলে গেল। তাহলে? প্রেম শুধু সিনেমা চলাকালীন ছিল? ফেরত যে স্পিডে এল আবার চলেও গেল! সৃজিতের কথা জানি না আমি তো রোবট নই।
(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)