রাজীব সেন (বাঁ দিকে)। সপরিবার চারু আসোপা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র দু-দিন। তার পরই তিক্ততার শিকল থেকে মুক্তি। গত দু’বছর ধরে ক্রমাগত সংবাদ শিরোনামে সু্স্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন ও ভ্রাতৃবধূ চারু আসোপা। কারণ তাঁদের দাম্পত্য কলহ। অবশেষে আইনি বিচ্ছেদ হতে চলেছে চারু-রাজীবের। ৮ জুন আইনত আলাদা হতে চলেছেন এই দম্পতি। তবে চারু-রাজীব একা নন। সঙ্গে রয়েছে তাঁদের ছোট্ট কন্যা জিয়ানা। মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর কার সঙ্গে থাকবে ওই খুদে, জানালেন রাজীব।
চারুর স্বামী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানান, তাঁর জীবনে যা কিছু হচ্ছে তা ভালর জন্যই হচ্ছে। প্রতিটা মানুষ আলাদা তাঁদের জীবনযাপনের ধরন থেকে চিন্তাভাবনা সবটাই আলাদা। রাজীবের কথায়, ‘‘‘অবশেষে সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছি আমরা। আমার মনে হয়, আপনি কী ভাবে জীবনটা তৈরি করছেন, তার উপরই নির্ভর করছে জীবনের আগামী দিনের সুখ।’’
বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে বলেই জীবনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব চলে আসবে, এমনটা নয়। বরং রাজীব জানান, জীবনটাকে তিনি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে চান। কিন্তু মেয়ে জিয়ানা তো বেশ ছোট। মা না কি বাবা, বিচ্ছেদের পর কার সান্নিধ্যে বড় হয়ে উঠবে সে? এর জবাবও দেন সুস্মিতার ভাই। রাজীবের কথায়, ‘‘আমরা যা কিছুই করছি, সবটা মেয়ে জিয়ানার ভাল ভেবে। ওঁর ভালটা আমার ও চারুর কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, আমাদের মেয়ে যখন বড় হবে, দু’জনকেই হাসিখুশি দেখুক। আর বাকিটা যা হবে ৮ তারিখে সকলে দেখতেই পাবেন। কপালে যা লেখা আছে, তা-ই হবে।’’
২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করেই সুস্মিতার ভাইকে বিয়ে করেন চারু। দিদি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন তাঁদের। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাজীব-চারুর দাম্পত্যকলহের কথা বার বার প্রকাশ্যে আসে। ২০২১ সালে কন্যা জিয়ানার জন্ম। তার পরই যেন চরমে ওঠে তাঁদের সংঘাত। রাজীবের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চারু। মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। পরে কন্যার মুখ চেয়েই দু’জনে তাঁদের সম্পর্ককে আরও একটা সুযোগ দিতে চান। ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চারু বেরিয়ে আসেন রাজীবের সংসার ছেড়ে। মাস ছয়েক আলাদা থাকার পর পাকাপাকি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের।