Sushant Singh Rajput

সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে দিদির সঙ্গে কথা বলেন, ফ্রুটজুসও খান, তার পর...

হঠাত্ কী এমন হল যে আত্মহত্যা করতে হল, এই প্রশ্নই খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন থেকে আম জনতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ১৬:০০
Share:

সুশান্ত সিংহ রাজপুত। ফাইল চিত্র।

মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে রবিবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। আত্মহত্যার আগে পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। সুশান্তের চেহারায় কোনও বিষণ্ণতা ধরা পড়েনি, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর বন্ধু-বান্ধবরা। তা হলে হঠাত্ কী এমন হল যে আত্মহত্যা করতে হল, এই প্রশ্নই খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন থেকে আম জনতা। মৃত্যুর আগের কয়েক ঘণ্টা কী করেছিলেন সুশান্ত?

Advertisement

সকাল ৬.৩০: অন্য দিনের মতো রবিবারও সকালে উঠে পড়েছিলেন সুশান্ত।

Advertisement

সকাল ৯.০০: দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

সকাল ৯.৩০: পরিচারক এসে বেদানার রস দিয়ে যান। প্রতি দিনের রুটিনমাফিক কাজ সেরে ফলের রস খেয়েছিলেন।

সকাল ১০.৩০: দুপুরে কী খাবেন তা জনার জন্য রান্নার লোক এসে সুশান্তের ঘরের দরজার ক়ড়া নাড়েন। তাঁর দাবি, ডেকেও কোনও সাড়া পাননি। তিনি ফের রান্না করতে চলে যান।

দুপুর ১২.০০: দুপুরের খাবার তৈরি করে রান্নার লোক ফের ডাকতে আসেন সুশান্তকে। এ বারও বেশ কয়েক ডেকে সাড়া না পেয়ে দরজায় জোরে জোরে আঘাত করেন। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। সুশান্তকে ফোনও করেন রান্নার লোক। কিন্তু তাতেও সাড়া পাননি। এর পরই তিনি বাড়ির অন্য পরিচারকদের ফোন করে ডেকে বিষয়টা জানান।

দুপুর ১২.৩০: প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন হয়ে পরিচারকরা সুশান্তের দিদিকে ফোন করেন। তিনি গোরেগাঁওতে থাকেন।

আরও পড়ুন: শ্বাসরোধেই মৃত্যু সুশান্তের, বলছে পোস্ট মর্টেম, হবে ভিসেরা টেস্টও

আরও পড়ুন: ‘আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছে সুশান্ত’, বিস্ফোরক অভিনেতার মামা

দুপুর ১.১০: পরিচারকদের কাছ থেকে ফোন পেয়েই গোরেগাঁও থেকে বান্দ্রায় সুশান্তের বাড়িতে পৌঁছন তাঁর দিদি। তিনিও সুশান্তের ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। ফোন করেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই সুশান্ত সাড়া না দেওয়ায় বিচলিত হয়ে পড়েন।

দুপুর ১.১৫: সুশান্তের ঘর খোলার জন্য চাবি তৈরির লোককে ডাকা হয়।

দুপুর ১.৪০: চাবি তৈরির লোক এসে সুশান্তের ঘরের দরজা খোলেন।

দুপুর ১.৪৫: দরজা খুলতেই সুশান্তের দিদি ও বাড়ির অন্য লোকেরা ঘরের ভিতর ঢোকেন। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুশান্তকে দেখতে পান তাঁরা। সবুজ রঙের কুর্তা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল গলায়। সেই কুর্তা কেটে সুশান্তের দেহ নামান বা়ড়ির লোকেরাই।

দুপুর ২.০০: পুলিশকে ফোন করে ঘটনাটা জানানো হয়।

দুপুর ২.৩০: খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ছুটে আসেন। সুশান্তের মৃত্যুর খবর ছড়াতেই বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়।

বিকেল ৩.৩০: সুশান্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিকেল ৪.০০: চিকিত্সকরা সুশান্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যা ৬.০০: পুলিশ জানায়, এটা আত্মহত্যার মামলা। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।

সোমবার সকাল: ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসে। তাতে উল্লেখ করা হয়, ফাঁস লাগানোর কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement