‘আদিপুরুষ’ ছবিতে প্রভাস ও কৃতি শ্যানন। ছবি: সংগৃহীত।
১৬ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল দক্ষিণী তারকা প্রভাস ও বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন অভিনীত ছবি ‘আদিপুরুষ’। প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্কে থেকেছে ‘আদিপুরুষ’। মুক্তির পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ওম রাউত পরিচালিত এই ছবির। একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে আগেই ছবির পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ভূষণ কুমার এবং সংলাপ লেখক মনোজ মুন্তাশিরকে ২৭ জুলাই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশও দিয়েছিল আদালত। এলাহাবাদ হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘আদিপুরুষ’-এর নির্মাতারা। সেই মামলায় জরুরি ভিত্তিতে আর্জি শুনতে চাইল না দেশের শীর্ষ আদালত।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জরুরি আবেদন করেছিলেন ‘আদিপুরুষ’ নির্মাতারা। সেই আবেদন শুনতে প্রত্যাখ্যান করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই আদেশে ‘আদিপুরুষ’-এর নির্মাতাদের ২৭ জুলাই হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। খবর, এখন ১৩ জুলাই মামলার শুনানি করতে চলেছে শীর্ষ আদালত।
‘আদিপুরুষ’ ছবি প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। তাতে দাবি করা হয়, ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে নাকি ওম রাউত পরিচালিত ওই ছবির চরিত্রগুলির কোনও মিল নেই। পাশাপাশি, ছবির সংলাপের গুণগত মান নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছিল ওই জনস্বার্থ মামলায়। ওই মামলার শুনানি চলাকালীন ছবির নির্মাতাদের ধমক দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেন্সর বোর্ডের দিকে নিশানা করে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “সেন্সর বোর্ড করছে টা কী? দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কী শিক্ষা দিতে চাইছে?’’ এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন ‘আদিপুরুষ’ নির্মাতারা।