সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
ধর্মেন্দ্রর মতো বলিউডের তাবড় তারকার সন্তান তিনি। ফিল্মি পরিবারে সিনেমার সান্নিধ্যেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। বড় হয়ে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র বড় ছেলে সানি দেওল। বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আশির দশকে। সেই সময় সাফল্য এলেও তা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি সানি। পরিচালনা, প্রযোজনা ও অভিনয়— সব একাধারে সামলাতে গিয়ে বক্স অফিস থেকে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। চলতি বছরে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। সৌজন্যে, ‘গদর ২’ ছবি। মুক্তির তিন সপ্তাহের মাথায় বক্স অফিসে ৫০০ কোটি ছুঁইছুঁই সানির এই ছবি। বক্স অফিসে নিজের জমি শক্ত করার পাশাপাশি আলোচনাতেও ফিরেছেন সানি। এখন রীতিমতো বলিউডের সুপারস্টার তিনি। কিন্তু তাঁর শৈশব নাকি যথেষ্ট যন্ত্রণার। এক সময় সামান্য লেখাপড়া করতেও নাকি বেশ বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। কেন? কারণ, ছোটবেলায় নাকি ডিজ়লেক্সিয়ায় ভুগেছেন সানি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই লড়াই নিয়ে মুখ খুললেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানি জানান, ছোটবেলায় লেখাপড়া করতে পারতেন না বলে চড়-থাপ্পড়ও খেতে হয়েছে তাঁকে। সানি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় আমি ডিজ়লেক্সিক ছিলাম। তখন তো এই সব রোগের কথা আমরা কেউ জানতামও না। আমি লিখতে-পড়তে পারতাম না ঠিক করে। আমাকে সবাই বোকা বলত। কত চড়-থাপ্পড়ও খেয়েছি!’’ সানি আরও বলেন, ‘‘এখনও কোনও কিছু পড়তে গেলে আমার বেশ অসুবিধা হয়। সব শব্দ চোখের সামনে গুলিয়ে যায়। অনেকেই অনুষ্ঠানে টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করেন। আমাকেও বলা হয়েছিল ও রকম কোনও কিছু ব্যবহার করার জন্য, যাতে আমার কথা বলতে অসুবিধা না হয়। কিন্তু আমি বলি, আমাকে বলে দিন কী বলতে হবে, আমি সেটা মনে রেখেই বলে দেব।’’
সানি জানান, অভিনয়ের পেশায় আসার পর থেকে বহু বছর তাঁর এই রোগ নিয়ে কখনও কথাবার্তা হয়নি। সানি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে জনসমক্ষে কথা বলতে গেলেই আমি ঘাবড়ে যেতাম। এখন সেটা অনেক কমেছে। আগে আমার হাতে মাইক ধরিয়ে দিলে আমি ভাবতাম কী বলব।’’ তবে সানির দাবি, এখন আগের থেকে অনেক বেশি সাবলীল তিনি। সাম্প্রতিক কালে ‘গদর ২’ ছবির প্রচারমূলক অনুষ্ঠানেও সপ্রতিভ ছিলেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র।