অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
“ভগবান এরা জানে না এরা কী করছে! ক্ষমা করে দিও।” নিন্দকদের সটান জবাব সুদীপার। কিছু দিন আগে স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করেছিলেন সুদীপা। লিখেছিলেন “অসুস্থ থাকার সুবিধা।” কাছের মানুষ ভাল না থাকলে তাঁকে ভাল রাখার নানারকমের ফিকির বের করেন তাঁর ভালবাসার মানুষেরা। তেমনই সুদীপার শরীর ভাল না থাকায় তাঁকে খেতে নিয়ে গিয়েছিলেন অগ্নিদেব। সেই মিষ্টি মুহূর্তই ফ্রেমবন্দি করেন তিনি।
সুদীপার ছবি দেখেই আবারও মন্তব্যের বন্যা। কেউ লিখেছেন, “কে দরজা খুলে দিল?”, আবার কারও মন্তব্য “আমিও তো খেতে গিয়েছি কিন্তু ছবি তো দিইনি।” সকলের এমন মন্তব্যেই মন খারাপ সুদীপার। তিনি লেখেন, “লোকে এত কিছু লিখলেন— কেউ কিন্তু একবারও জিজ্ঞেস করলেন না, সুদীপা কি হয়েছে তোমার? ভাল নেই কেন? এর থেকে বোঝা গেল আমি মরে গেলেও,আপনারা আমার চিতায় ফুলের মালা গুনবেন। তাতে খুঁত ধরবেন। বানান ভুল ধরবেন। আমাকে দেখবেন না,তাই তো? কি নিষ্ঠুর!”
দর্শকের নেতিবাচক মন্তব্য এতটা প্রভাব ফেলে তাঁর মনে? প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় সুদীপার সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই সব দেখলে আমার বিরক্ত লাগে না, মন খারাপ হয়। সেই যিশু বলেছিলেন না ওরা জানে না ওরা কী করছে! আমি নিজেকে মহাপুরুষদের সঙ্গে তুলনা করছি না। কিন্তু রামমোহন, বিদ্যাসাগর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— এদের নিয়ে কুমন্তব্য করতে কেউ পিছপা হন না তো আমি কে? আমার খারাপ লাগে। উত্তর দিই এই জন্য মনে হয়, ওঁরা তো মন্তব্য করেন আমাকে অপমান করবেন বলে। উত্তর দিয়ে বুঝিয়ে দিই আমি কতটা অপমানিত হলাম।”
পুজো শেষ। শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ছেলে আদিদেবের স্কুলও। মন চাইছে পালাই পালাই। কিন্তু দায়িত্বে বাঁধা সুদীপা।