Sumitra Sen Death

এক যুগের ব্যবধানে মৃত্যুদিন মিলিয়ে দিল সুচিত্রা-সুমিত্রাকে

সুচিত্রার জন্ম ১৯২৪-এ। এর ঠিক ৯ বছর অর্থাৎ, প্রায় এক যুগ পর ১৯৩৩-এ জন্ম সুমিত্রার। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা বাংলা জুড়ে এক প্রকার রবীন্দ্র-ঝড় শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩২
Share:

বারো বছর আগে এবং পরে একই দিনে মৃত্যু বাংলা তথা দেশের দুই কিংবদন্তি গায়িকার। ফাইল চিত্র ।

৩ জানুয়ারি। বারো বছর আগে এবং পরে একই দিনে মৃত্যু বাংলা তথা দেশের দুই কিংবদন্তি গায়িকার। এককালের সহকর্মীও তাঁরা। দু’জনেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক জন সুচিত্রা মিত্র এবং অন্য জন সদ্যপ্রয়াত সুমিত্রা সেন। ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি মারা গিয়েছিলেন সুচিত্রা। তার ঠিক বারো বছর পর প্রয়াণ হল সুমিত্রার। সুচিত্রা-সুমিত্রা, দু’জনেই বিভিন্ন ধরনের গান গেয়েছেন। তবে দু’জনেরই মূল খ্যাতি রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমে।

Advertisement

সুচিত্রার জন্ম ১৯২৪-এ। এর ঠিক ৯ বছর অর্থাৎ, প্রায় এক যুগ পর ১৯৩৩-এ জন্ম সুমিত্রার। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা বাংলা জুড়ে এক প্রকার রবীন্দ্র-ঝড় শুরু হয়েছিল। বাঙালির ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সাহিত্য নিয়ে কত জ্ঞান রয়েছে, তা-ও বিচার করা হত রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কত চর্চা রয়েছে তার উপর। গুরুত্ব পেতে শুরু করেছিল রবীন্দ্রভারতী এবং বিশ্বভারতী। সুচিত্রা গায়িকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন সুমিত্রার আগেই। রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর পরবর্তী সময়ে বাজার ছেয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত, গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্যের রেকর্ডে। সেখানেও উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল সুচিত্রা-সুমিত্রার।

সুচিত্রা এবং সুমিত্রা, দু’জনেই একাধিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গান গেয়েছেন। ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্যে ‘কমলিকা’র চরিত্রে সুচিত্রার গলা এবং ‘অরুণেশ্বরের’ চরিত্রে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলা বাঙালি মননে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নিয়েছে। সেই রেকর্ডেই সুমিত্রার কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায়’ গানটি। আর সেই গান নিজস্ব গুণে বাঙালির কাছে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছিল।

Advertisement

অগ্রজা সুচিত্রার গায়কি নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন সুমিত্রা। মুগ্ধ ছিলেন আর এক অগ্রজা গায়িকা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানেও। সুচিত্রা এবং কণিকা, দু’জনেরই নিজস্ব ধারা ছিল। এক জন শান্তিনিকেতনি গায়নরীতিতে খ্যাতিলাভ করেছিলেন। অন্য জন গণনাট্যের আবহ থেকে পেয়েছিলেন জোরালো, উদাত্ত কণ্ঠ। দু’জনেরই গুণমুগ্ধ ছিলেন সুমিত্রা। সুচিত্রা রবীন্দ্রভারতীর সহকর্মী হওয়ায় জীবনের একটি বড় অংশ তাঁর সান্নিধ্যে কেটেছিল সুমিত্রার। ভক্তি-শ্রদ্ধাও ছিল অপার। তবুও সুমিত্রা প্রভাবিত হননি সুচিত্রার গান গাওয়ার ধরনে। রবীন্দ্রগানে নিজস্বতা এনেছিলেন সুমিত্রা। স্বকীয়তার নিরিখে সহজেই অন্যদের থেকে আলাদা করে নেওয়া যেত তাঁকে।

তবে সমসাময়িক অন্য গায়িকাদের তুলনায় সুচিত্রার প্রতি বরাবরই একটু বেশিই টান ছিল সুমিত্রার। তাঁর নিজের বোনের নামও সুচিত্রা ছিল বলেই বোধ হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement