অভিনেতা আর তারকার মধ্যে ফারাক একটাই, জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা। সেই উত্তম কুমার-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আমল থেকে শুরু। এখনও চলে আসছে। ইদানিং যদিও সমীকরণ কিছুটা বদলেছে। মাচো ম্যানদের চেয়ে, চেহারায় বুদ্ধিমত্তার ছাপ রয়েছে, এমন তারকাদেরই নাকি বেশি পছন্দ মহিলাদের। তাঁরা কারা জানেন?
হৃতিক রোশন: ৪৫ বসন্ত পার করে ফেলেছেন। তবে আজও বহু মহিলার হার্টথ্রব তিনি। ‘মাচো ম্যান’ হিসাবেই যদিও পরিচিতি হৃতিকের। তবে ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’-এর সেই পাশের বাড়ির রোহিতকে আজও ভোলেননি অনেকে। তাই তো বছরের পর বছর ধরে ‘সেক্সিয়েস্ট ম্যান অ্যালাইভ’ শিরোপা ধরে রেখেছেন।
প্রভাস: কয়েক বছর আগে পর্যন্ত দক্ষিণী ছবি বলতে রজনীকান্ত-কমল হাসন বুঝতেন মানুষ। ছবিটা বদলে যায় ২০১৫ সালে, যখন ‘বাহুবলী’ মুক্তি পায়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সব মেয়েদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নেন ছবির টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম নায়ক প্রভাস।
রণবীর কপূর: তিন খানকে বাদ দিলে, রণবীর কপূরকে বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান অভিনেতা বলা হয়। মহিলাদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা অসম্ভব। ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও, তাতে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।
রণবীর সিংহ: দীপিকা পাড়ুকোনকে বিয়ে করে সবে ঘর বেঁধেছেন। তবে মহিলা অনুরাগীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। আর অনুরাগীদের কী ভাবে খুশি করতে হয়, তিনি নিজেও ভালই জানেন। তাই ছবি হোক বা অটোগ্রাফ অথবা সকলের সামনে হঠাত্ হাজির হওয়া, চমক দিতে অভ্যস্ত রণবীর।
ভিকি কৌশল: বলিউডে টল-ডার্ক-হ্যান্ডসাম বলতে এই মুহূর্তে ভিকি কৌশলের নাম সামনের সারিতে। মাত্র কয়েক বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় এক ডজন ছবিও করে ফেলেছেন। প্রথম ছবি ‘মাসান’-এ সকলের মন জয় করে নেন তিনি। গত কয়েক বছরে মহিলামহলে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাঁর।
রাজকুমার রাও: বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বহু নারীর মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন শাহরুখ খান। রাজকুমার রাওকে তাঁর আধুনিক ভার্সন বলা যেতেই পারে। অভিনেত্রী পত্রলেখার সঙ্গে কমিটেড রিলেশনশিপে রয়েছেন। তা নিয়ে লুকোছাপাও করেন না। তাঁর এই সাহসিকতাই ঘায়েল করেছে মহিলাদের।
বরুণ ধওয়ন: বাণিজ্যিক হোক বা আর্ট, দুই ধরনের ছবিকে ব্যালেন্স করতে জানেন বরুণ ধওয়ান। দেখতেও পাশের বাড়ির দুষ্টু-মিষ্টি ছেলেটির মতো। প্রেমিকা রয়েছে যদিও। তবে তাতে কিচ্ছু যায় আসে না মহিলা অনুরাগীদের। বরুণের ছবি এলেই হল, থিয়েটারে ভিড় জমান তাঁরা। তাই একটাও ফ্লপ ছবি নেই বরুণের ৬ বছরের কেরিয়ারে।
আয়ুষ্মান খুরানা: ছবির নায়ক কিনা স্পার্ম ডোনার? কয়েক দশক আগে ভাবতে পেরেছিলেন? এখানেই বাজিমাত করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা। একের পর এক চ্যালেঞ্জিং রোলে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ব্যক্তিগত জীবনেও তাই। ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী-র জন্য করওয়া চৌথের ব্রত রাখলে, তাঁকে ভাল না বেসে যান কোথায় মহিলারা!
টাইগার শ্রফ: অভিনেতা নয়, সুপারস্টার হতে চান। তাই নাচ-অ্যাকশন-বডি, তারকা হতে যা যা লাগে, সব সমেত বলিউডে পা রেখেছিলেন টাইগার শ্রফ। এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকই এগোচ্ছেন তিনি। দু’-একটা ছবি ফ্লপ হয়েছে বটে। তবে বাবা জ্যাকির মতো তাঁরও মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা অনেক।
দিলজিত্ দোসাঞ্জ: ভাল গায়ক এবং অভিনেতা তো বটেই, তারকা হওয়ার পরও যথেষ্ট বিনয়ী পঞ্জাবের সুপারস্টার দিলজিত্ দোসাঞ্জ। তাতেই মহিলাদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।