ব্রিটিশ জাহাজ ‘আরএমএস টাইটানিক’-এর সেই নিদারুণ দুর্ঘটনার কথা জানেননা, এমন মানুষ সারা বিশ্বে বিরল। জাহাজডুবিতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় দেড় হাজার মানুষের। আজ থেকে ১৩১ বছর আগে ভারতেও ঘটেছিল এমন এক জাহাজডুবির ঘটনা, যা কেড়ে নিয়েছিল হাজারেরও বেশি প্রাণ—তা কি আপনি জানতেন? দেখে নেওয়া যাক। —প্রতীকী ছবি।
জাহাজটির নাম এসএস বৈতরণ। পোশাকি নাম বিজলি। মহারাষ্ট্রের বৈতরণী নদীর নামেই রাখা হয়েছিল ওই জাহাজের নাম।
তিন তলা জাহাজ। তাতে ছিল পঁচিশটি কেবিন। একেবারে রাজকীয় আয়োজন। জাহাজটি তৈরির দায়িত্বে ছিল স্কটল্যান্ডের গ্রেঞ্জমাউথ ডকইয়ার্ড কোম্পানি।
১৮৮৮ সালের ৮ নভেম্বর। গুজরাতের কচ্ছ উপকূল থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে সেই জাহাজটি। পোরবন্দরে পৌঁছে আরও কিছু যাত্রী তোলে ‘বিজলি’। যাত্রী সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৮০০। এঁদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী এবং বম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও।
এ বার গন্তব্য আরব সাগর। সেখান থেকে সোজা বম্বে অধুনা মুম্বই। পাড়ি দেয় বিজলি। আবহাওয়া প্রথম থেকেই খারাপ ছিল। কিন্তু তাতেও থামেননি ক্যাপ্টেন হাজি কাশিম।
বিজলিকে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিল ম্যাংগ্রলের কাছে। অনেকে বলেছিলেন, মাধবপুরের কাছও নাকি তাকে দেখা গিয়েছিল এক বার। কিন্তু পরের দিন সকালেই ‘বিজলি’-র সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। আর কেউ দেখতে পায়নিএই জাহাজ। মাঝ সমুদ্রেই হারিয়ে যায় সে। মারা যায় প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষ। —প্রতীকী ছবি।
যদিও সরকারি হিসেব বলছে ওই ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ৭৫০ জন যাত্রী। কিন্তু গুজরাতের স্থানীয় মানুষের হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা প্রায় বারোশো। —প্রতীকী ছবি।
শোনা যায়, যে রাতে হারিয়ে গিয়েছিল জাহাজটি সেই রাতেই আরব সাগরের বুকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ওঠে।তার দাপটেই সলিল সমাধি হয় তার। —প্রতীকী ছবি।
তবে আশ্চর্যজনক ভাবে পরবর্তীকালেও ‘বিজলি’-র কোনও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনও যাত্রীর মৃতদেহও। —প্রতীকী ছবি।
সত্যিই কি ঘূর্ণিঝড় না কি লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? — ভারতের টাইটানিকের এই উবে যাওয়ার নিদারুণ ঘটনা আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। —প্রতীকী ছবি।