সৃজিতের অপেক্ষা শেষের পথে।
৪ ফেব্রুয়ারি সৃজিত মুখোপাধ্যায় নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রেক্ষাগৃহে তাঁরই দু’টি ‘হেভিওয়েট’ ছবি মুক্তি পাবে একসঙ্গে। তার একটি বহু প্রতীক্ষিত ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ উপন্যাসের পর্দারূপ এটি। এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী— ২৪ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগের দিন ফিরে আসার কথা ছিল কাকাবাবুর। ফিরেছেন বটে, তবে প্রচার ঝলকে।
ব্যোমকেশ-ফেলুদা-কিরীটির মতোই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু-সন্তুর অভিযানও বাঙালির বড় প্রিয়। তাই ‘কাকাবাবু’কে নিয়ে তৈরি সৃজিতের আগের দু’টি ছবি ‘মিশর রহস্য’ এবং ‘ইয়েতি অভিযান’ মন দিয়ে দেখেছেন দর্শক। প্রশংসা করেছেন সিনে সমালোচকেরা। ফলে, তৃতীয় ছবি ঘিরে প্রত্যাশা বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। সেই প্রত্যাশা কতটা মেটাতে পারবে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’? এক্ষুণি বলা মুশকিল। তবে ঝলক বলছে, উত্তেজনা এবং উন্মাদনার উপকরণ তৃতীয় ছবিতেও কিছু কম নেই।
উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই বলা যেতে পারে ঝলকের প্রথম দৃশ্যের কথা। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়চ্ছে তাড়া খাওয়া বাইসনের দল। তার পরেই বন্দুকের মুখোমুখি এক বন্দি। হাসতে হাসতে তাকে নিশানা বানিয়ে ট্রিগার টিপতে হাত কাঁপেনি আততায়ীর। সেই দৃশ্য ছাপিয়ে ভেসে উঠেছে কাকাবাবুর কণ্ঠস্বর, ‘‘সব গোয়েন্দা গল্পের শুরুতে যেমন বলে। ফোনে একটা হুমকি!’’ সংলাপ ফুরোতেই কাকাবাবু ওরফে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দৃশ্যমান। হেলিকপ্টার থেকে নামছেন। ভাইপো সন্তু ওরফে আরিয়ান ভৌমিককে নিয়ে তাঁর গন্তব্য নাইরোবি।
ঘন জঙ্গলের মধ্যে বিলাসবহুল হোটেল। সেখান থেকে উধাও দুই বাসিন্দা। রহস্যভেদে স্বাভাবিক ভাবেই ডাক পড়েছে রাজা রায়চৌধুরী ওরফে কাকাবাবুর। খুব মসৃণ ভাবে যে তিনি এই রহস্য সমাধান করে ফেলবেন, এমনটা ঘটবে না। কাকাবাবুকে বাধা দেওয়ার, প্রাণে মারার চেষ্টারও কসুর হবে না। তার পরেও কী ভাবে জিতবেন কাকাবাবু? এই কৌতূহলই দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে আবারও টেনে নিয়ে যাবে, ঝলকে ইঙ্গিত তেমনটাই। বাড়তি আকর্ষণ নাইরোবি অভয়ারণ্য, নানা হিংস্র শ্বাপদের সঙ্গে প্রৌঢ় গোয়েন্দার মোকাবিলা। তার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকা রহস্য।
আর? স্বয়ং সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে প্রসেনজিতের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। আছেন লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায়ের মতোই ঝোলা কাঁধে, পাঞ্জাবি-জহর কোট-পাজামা শোভিত অনির্বাণ চক্রবর্তী, অ্যালান্সো গ্রান্ডিয়ো। এবং থাকছেন এক ঝাঁক স্থানীয় অভিনেতা।