এত এত শুভেচ্ছা নিয়ে পথ চলা শুরু করল শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতার ‘বেলাশুরু’
প্রথম ঝলক দেখেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছে বাংলার পরিচালকমহল। উচ্ছ্বসিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টুইট, ‘শেষ দৃশ্য অন্য বাস্তবতায় নিয়ে গিয়ে ফেলল। চমৎকার ট্রেলার!’
‘বেলাশুরু’র ওই ট্রেলার দেখেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন, ‘তোমরা জানো। তোমরাই জানো। তোমরাই চেনো কোন পথ পৌঁছাবে! তোমাদের দলের সব্বাই আমাদের গর্ব! বিরাট বিরতির পর আবার বাংলা ছবির বেলাশুরু হচ্ছে। হচ্ছেই। তোমরাও সেটা জানো। অভিনন্দন!’
দিন দুয়েক আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলেছিলেন, যদি একশোটা ছবিও একসঙ্গে মুক্তি পায়, ‘বেলাশুরু’ তার মধ্যে আলাদা।
এত এত শুভেচ্ছা নিয়ে পথ চলা শুরু করল শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতার ‘বেলাশুরু’। এ বড় কম কথা নয়!
এতদিন ধরে ‘টাপাটিনি’র সুরে মানুষকে মাতিয়ে রেখে শনিবার সাড়ম্বরে মুক্তি পেল বেলাশুরুর প্রথম ঝলক। তবে যাঁরা শুরু করলেন নতুন বেলা, কেবল তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন না শুভদিনে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর আসন শূন্যই পড়ে রইল। শিবপ্রসাদ অবশ্য বলছেন, “কে বলল ওঁরা নেই! সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত তো আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।” আনন্দবাজার অনলাইনকে ছবি পাঠিয়েছেন দু’জনের পাশাপাশি রাখা চেয়ারের। নাম লেখা ছিল সৌমিত্র আর স্বাতীলেখার। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কলাকুশলীরা।
২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল নন্দিতা-শিবপ্রসাদ পরিচালিত ‘বেলাশেষে’ ছবিটি। তার পর আবার ফিরে আসার তাগিদ দেখা দিয়েছিল। ফিরেছিলেন সব চরিত্ররাই, নতুন করে।
‘বেলাশুরু’ ছবির শ্যুটিং শেষ হয়ে গেলেও, করোনা অতিমারির কারণে পরবর্তী কাজে দেরি হয়। প্রায় আড়াই বছর পর ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। ছবিতে অভিনয়ে দেখা যাবে প্রয়াত সৌমিত্র-স্বাতীলেখাকে। এ ছাড়াও রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনামী ঘোষ, শঙ্কর চক্রবর্তী, ইন্দ্রানী দত্ত, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
একান্নবর্তী পরিবারে বিভিন্ন সম্পর্কের রসায়নের মাঝেই ধরা দেবেন দুই বর্ষীয়ান চরিত্র, বিশ্বনাথ মজুমদার (অভিনয়ে সৌমিত্র) ও তাঁর স্ত্রী আরতি (অভিনয়ে স্বাতীলেখা)। শব্দছকের দুপাশে দানা বাঁধবে তাঁদের নিয়তি। সে নিয়েই এগোবে নতুন বেলা। সৌমিত্র-স্বাতীলেখার অন্তিম মুহূর্ত ধরে রাখবে এই ছবিই।