শ্রীলেখা মিত্র।
বহু বছর পরে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেল বাংলা ছবি। সৌজন্যে আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন কলকাতা’। নিমন্ত্রণ রক্ষায় জুরিখে উপস্থিত ছবির কুশীলবেরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম শ্রীলেখা মিত্র। জুরিখ থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘প্রচণ্ড উত্তেজিত। ভেনিসে লাল কার্পেটে পা রাখব।’’ তাঁর সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে গিয়েছিল অনুরাগী মহলেও। ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলেখা রেড কার্পেটে হেঁটেছেন স্বচ্ছ সবুজ শিফন শাড়ি পরে। খোলা চুল, হাল্কা গয়না, ছোট্ট টিপ আর লিপস্টিকে সহজ সুন্দরী তিনি।
শ্রীলেখার এই স্নিগ্ধ রূপে মোহিত ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব। বৃহস্পতিবার নেটমাধ্যমে সেই ছবি ভাগ করে নিতেই অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, একজন বাঙালি অভিনেত্রী ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবি ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন! এটা বোধহয় তাঁর ব্লাউজের কাট বা সারমেয় প্রেমের ‘কুখ্যাতি’র থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসবের ঠিক আগের মুহূর্তে এবং লাল কার্পেটে হাঁটার সময় ভিন্ন সাজে ভেনিস মাতিয়েছেন শ্রীলেখা। লাল কার্পেটে তিনি পাক্কা বাঙালি। তার আগে তিনি বিদেশিনী। লালচে কমলা রঙের ব্লেজার, প্যান্টে ঝলমলে। কলারে কুঁচি দেওয়া সাদা শার্ট। চুল তুলে বাঁধা।
অভিনেত্রীই প্রথম সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁর অভিনীত ছবি ভেনিস চলচ্চিত্রে আমন্ত্রণ পেয়েছে। বিদেশের মাটিতে পা রাখার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছিলেন তখন থেকেই। সমস্ত বিতর্ক থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। এখন আর কোনও নেতিবাচক ভাবনা বা বিতর্কে জড়াব না।’’
কিন্তু বিতর্ক যে তাঁকে ছেড়েও ছাড়তে চায় না! তাই বিদেশ গিয়ে যখনই জানতে পারেন, ডেটিংয়ের বদলে তাঁর থেকে দত্তক নেওয়া পথপশু অযত্নে প্রাণ হারিয়েছে। এবং এর জন্য দায়ী তাঁর ডেট সঙ্গী রেড ভলান্টিয়ার্স শশাঙ্ক ভাভসার, তখন আর চুপ থাকতে পারেননি শ্রীলেখা। সেই সময় সারমেয় প্রেমের জন্য অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছিল তাঁকে।