Aryan Khan Case

প্রমোদতরীর মাদক-কাণ্ড নিয়ে আবার জলঘোলা শুরু, শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান কি সত্যিই নির্দোষ?

২০২১ সালে প্রমোদতরী অভিযানের সময় শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার অন্তর্তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক সিনিয়র আধিকারিক-সহ এনসিবি-র সাত থেকে আট জন তদন্তকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১১:১৪
Share:

শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ‘ফাঁক’ রয়েছে বলে শুরু হয়েছিল অন্তর্তদন্ত। সেই তদন্তেই উঠে এসেছে নতুন তথ্য। —ফাইল চিত্র

২০২১ সালের অক্টোবরে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী ‘কর্ডেলিয়া’-য় মাদকযোগের অভিযোগে শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান-সহ আরও ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)। এনসিবি-র সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সংস্থার অন্যতম শীর্ষ অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি তাঁর দল নিয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন প্রমোদতরণীতে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহরুখের পুত্রকে। জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

সেই প্রমোদতরীর মাদক-কাণ্ড নিয়ে আবার জলঘোলা শুরু হয়েছে। আরিয়ান-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ‘ফাঁক’ রয়েছে বলে শুরু হয়েছিল অন্তর্তদন্ত। সেই তদন্তেই আবার উঠে এসেছে নতুন তথ্য। প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় আরিয়ান প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর তাঁর বিরুদ্ধে মাদকচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল এনসিবি। সেই সূত্রে বিষয়টিতে রাজনীতির ছায়া থাকার অভিযোগও উঠেছিল। বলা হয়েছিল, শাহরুখের ধর্মপরিচয়ের কারণেই তাঁর পুত্র এবং পরিবারকে ‘হেনস্থা’ করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ‘চক্রান্ত’ করেছে, এমন অভিযোগও উঠেছিল। শাহরুখ নিজে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী গৌরী খান একটি টেলিভিশন টক-শোয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তার পাশাপাশিই চলছিল ওই ঘটনাপ্রবাহে বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্তর্তদন্ত।

কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র ডিরেক্টর সত্যনারায়ণ প্রধানের কাছে চলতি বছরের অগস্ট মাসে ৩০০০ পাতার অন্তর্তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংহ। ওই তদন্তে এক সিনিয়র আধিকারিক-সহ এনসিবি-র সাত থেকে আট জন তদন্তকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। মাদক-কাণ্ডে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা নিয়েই তাঁদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

তদন্তে যে আইনি ফাঁক রয়েছে,তা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’। সেই বিশেষ তদন্তকারী দলের বক্তব্য অনুযায়ী, তদন্তে প্রথম যে ফাঁক ছিল, তা হল বাধ্যতামূলক শারীরিক পরীক্ষা না করানোর সিদ্ধান্ত। প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে আরিয়ান এবং তাঁর বন্ধুদের যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হল না, কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিটের সদস্যরা। এমনকি, অভিযান চালানোর সময় কোনও ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়নি কেন, সে দিকেও সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সিট।

প্রসঙ্গত, মাদক চোরাচালান-চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তুললেও পরে আরিয়ানের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে এনসিবি। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement