গৌতম।
ছোট পর্দায় ‘পেয়ার কী ইয়ে এক কহানি’, ‘দিয়া অওর বাতি হম’ ধারাবাহিক দিয়ে নজর কেড়েছিলেন গৌতম গুলাটি। তার পর ‘বিগ বস’-এর মঞ্চে বিজয়ী হন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে উল্লেখযোগ্য চরিত্রে দেখা যায়নি গৌতমকে। ফিরে এলেন ‘রাধে’ ছবি দিয়ে।
সলমন খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হল? ‘‘আমার কেরিয়ারের সেরা অভিজ্ঞতা বলা যেতে পারে। খুব অদ্ভুত ভাবে সুযোগটা পেয়েছিলাম। শুটিং শুরু হওয়ার ঠিক আগে আমার কাস্টিং চূড়ান্ত হয়। সলমন স্যর আমাকে সেটে ডেকে প্রভু দেবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন,’’ বলছিলেন গৌতম। ‘রাধে’র সেটেই অডিশন হয়েছিল তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে গৌতম বলছিলেন, ‘‘আমাকে দেখে প্রভু স্যর বলেছিলেন, ‘এ তো চকলেট হিরো’। তার পর আমার ইচ্ছেমতো কয়েকটা দৃশ্য অভিনয় করে দেখাতে বলেন। আমি হিথ লেজারের অভিনীত একটা দৃশ্য করে দেখিয়েছিলাম। ইংরেজি-হিন্দি দুই ভাষাতেই দেখাতে হয়েছিল। সেটা দেখে উনি খুশি হয়ে যান। প্রভু স্যর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগ করে দেবেন।’’
‘রাধে’তে সুযোগ পাওয়ার পুরো কৃতিত্ব সলমনকে দিচ্ছেন গৌতম। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ‘বিগ বস’-এর সময় থেকে সলমন স্যরকে চিনি। তখনও খুব মোটিভেট করতেন। সেটেও দেখতাম, কাউকে সাহায্য করার জন্য উনি সব সময়ে প্রস্তুত।’’ সিনেমার কেরিয়ারের পাশাপাশি গৌতম ব্যস্ত থাকেন লন্ডনে তাঁর ব্যবসা নিয়ে। এখন বছরের অধিকাংশ সময় তিনি সেখানেই কাটান। লন্ডনের সিনেমা হলে গিয়ে ‘রাধে’ দেখেছিলেন। ‘‘প্রচুর লোক ছবিটা দেখতে এসেছিলেন। মনে হচ্ছিল যেন কোনও উৎসব হচ্ছে,’’ মন্তব্য অভিনেতার।
ছোট পর্দায় ফেরার কথা এখন ভাবছেন না অভিনেতা। বলছিলেন, ‘‘আমি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার সময়েই ‘দিয়া অওর বাতি’ ছেড়েছিলাম। তার বদলে ‘ডরপোক’ নামে একটা শর্ট ফিল্ম করি। তার জন্য কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। ‘বিগ বস’ জেতার পরে কিছু ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু সেগুলো বড় ব্যানারের না হওয়ায় আমার কোনও লাভ হয়নি।’’ যে কারণে মাঝের সময়ে সব কিছু থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন গৌতম। এখন অপেক্ষা করছেন বড় ধরনের কামব্যাকের জন্য। বললেন, ‘‘আমার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ভাল কাজের জন্য অপেক্ষা করব।’’ অভিষেক কপূরের পরবর্তী ছবি ‘চণ্ডীগড় করে আশিকী’তে সুযোগ পেয়েছেন গৌতম। ওই ছবিতে আয়ুষ্মান খুরানা, বাণী কপূরের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে।