সোনু নিগম।
বছরের একটা বড় অংশ পরিবারকে নিয়ে দুবাইতে কাটাতে বাধ্য হয়েছেন সোনু নিগম। অতিমারির কারণে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জেরে ভারতে ফিরতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই দেশে ফিরে আবেগপ্রবণ গায়ক।
মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “মুম্বই এসে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই শহর প্রকৃত অর্থেই আমার মাতৃভূমি। আমার মা এখানেই জন্মেছেন এবং বড় হয়েছেন।” বিদেশের মাটিতে এতগুলি মাস কাটিয়ে আসার পর নিজের বাংলো ‘নমহ’-তে প্রবেশ করে উচ্ছ্বসিত গায়ক।
দেশে ফিরেই কাছের বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে চলে গেলেন সোনু। বলিউডের সেলেবদের সিংহভাগ ছুটি কাটানোর জন্য দেশের বাইরের কোনও জায়গা বেছে নেন, কিন্তু সোনু হঠাৎ ব্যতিক্রমী কেন?
গায়ক জানালেন, “উত্তরাখণ্ড আমার ভীষণ প্রিয় জায়গাগুলির মধ্যে একটি। তা ছাড়াও একজন মানুষ যখন গোটা অতিমারিটাই বিদেশে কাটিয়েছে, তার ঘুরতে যাওয়ার জায়গাটা তখন আর দেশের বাইরে হওয়া উচিত নয়।”
তবে অতিমারিকালে ভ্রমণের সময় যে ধরনের বাড়তি চাপ নিতে হয়, তা একেবারেই না-পসন্দ গায়কের। মাস্ক পরে থাকা, বার বার হাত স্যানিটাইজ করা, এ সব কিছুই বেশ বিরক্তিকর বলে মনে হয় সোনুর।
আরও পড়ুন: চোখে রোদ চশমা, সাদা রঙের জ্যাকেটে অন্য রূপে ‘রানিমা’, ছুটি কাটাচ্ছেন পাহাড়ে
সোনু মনে করেন, ২০২০ সালটা সকলের কাছেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। একেই করোনা অতিমারির প্রকোপ, তার উপর কত কিছু ঘটে গিয়েছে এই একটা বছরে। চেনা জীবনটাই যেন থমকে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “২০২০ সালটাকে আগামী বহু শতক মনে রাখা হবে। আমরা সকলে যে এই বছরটা কাটিয়েছি, এই ভাবনাটাই অবাক করে দেয়। কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, কত মানুষ চরম দারিদ্রে দিন কাটিয়েছেন। কত জায়গায় কত যুদ্ধ দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে, টিভি চ্যানেলে, বর্ডারে, পার্লামেন্টে। পৃথিবীর প্রতি সামান্য দয়াটুকুও দেখায়নি এই বছরটা।” তবে সোনু আশাবাদী, এই কঠিন সময় থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়েছে এবং সমাজের চাপিয়ে দেওয়া কিছু মিথ্যে নিয়ম, বিধিনিষেধ যে কতটা নিরর্থক, তা বুঝতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: ভারতী সিংহ ও হর্ষের তরফে অভিনব উপহার পেলেন রেমো ডি'সুজা