সোনম-আনন্দের দিল্লির বাড়িতে চুরি কবে হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তাই গত বছরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত মাসে জানা গিয়েছিল, সোনমের শ্বশুর প্রতারণার শিকার হন। ২৭ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছিল তাঁর। সেই মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চুরির তদন্তে সেই ঘটনার কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
সোনম এবং আনন্দ
সোনম কপূর-আনন্দ আহুজার বাড়িতে চুরি! নয়াদিল্লির ওই নতুন বাড়ি থেকে নগদ ও গয়না মিলিয়ে খোয়া গেল প্রায় দু’কোটি! তুঘলক রোড থানায় মামলা করতে ছোটেন সোনমের শাশুড়ি প্রিয়া আহুজা। দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নির্দেশে তড়িঘড়ি শুরু হয়ে যায় তদন্ত।
সোনম-আনন্দের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তারকা দম্পতির ২৫ জন কর্মচারী-সহ ৯ জন কেয়ারটেকার, গাড়িচালক, মালিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ফরেন্সিক বিভাগ। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ওই বাড়িতে আনন্দের মা, বাবা এবং ঠাকুমা থাকেন। ঠাকুমা সরলা আহুজা জানিয়েছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথম চুরির বিষয়টি খেয়াল করেন। সে দিন নিজের আলমারি খুলে তিনি দেখেন, গয়না এবং নগদ উধাও। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। সরলার কথায়, তিনি বছর দুয়েক আগে শেষ বার আলমারি খুলে দেখেছিলেন গয়নাগাঁটি সব ঠিকঠাক আছে কি না।
চুরি কবে হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তাই গত বছরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত মাসে জানা গিয়েছিল, সোনমের শ্বশুর প্রতারণার শিকার হন। ২৭ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছিল তাঁর। সেই মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চুরির তদন্তে সেই ঘটনার কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
অন্তঃসত্ত্বা সোনম এবং আনন্দ এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে। তাঁদের প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছেন তারকা দম্পতি। ২১ মার্চ আনন্দ সেই সুখবর দেন ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে চারটি ছবিও দিয়েছিলেন। ছবিতে দেখা যায়, স্বামী আনন্দের কোলে শুয়ে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা সোনম। কালো পোশাক পরা অভিনেত্রীর শরীরে মাতৃত্বের চিহ্ন স্পষ্ট। ছবির সঙ্গে আগত সন্তানকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছিলেন, ‘চারটি হাত। তোমাকে যত্নে বড় করে তোলার জন্য। দু’টি হৃদয়। তোমার সঙ্গে এক তালে হৃদ্স্পন্দন চলবে। একটি পরিবার। তোমাকে ভালবাসবে এবং পাশে থাকবে সব সময়ে। তোমার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি।’