সোনালী চৌধুরী
শনিবার এক মাসে পা রাখল সোনালী চৌধুরীর ছেলে। ছোট করে উদযাপন হতেই পারে। সেই ভাবনা থেকেই কালীঘাট মন্দির চত্বরের ১০০ ভিক্ষাজীবীকে খাওয়ালেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার ডিজিটালকে সোনালী জানিয়েছেন, ‘‘ছেলে এক মাস পূর্ণ করল। অতিমারিতে উদযাপন সম্ভব নয়। তাই কিছু নিরন্ন মানুষের মুখ অন্ন তুলে দিয়ে দিনটিকে পালন করছি, সবার আশীর্বাদে আগামী দিনে আমাদের সন্তান যাতে ভাল মানুষ হয়ে উঠতে পারে।’’ অতিমারির কারণে নিজেও বাইরে বার হচ্ছেন না অভিনেত্রী। অগত্যা ইচ্ছেপূরণের জন্য তিনি বন্ধু-অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ। তাঁর অপর্ণা ফাউন্ডেশনের হাত ধরেই এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাস্বর। অভিনেতার দাবি, সোনালী তাঁকে এই দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানালে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান তিনি।
ভাস্বর-সোনালীর বন্ধুত্ব ২৩ বছরের। এপ্রিল মাসে অভিনেতা থালা সাজিয়ে সাধ খাইয়েছেন তাঁকে। এ বার বন্ধুর অনুরোধে কাঙালি ভোজনের দায়িত্ব পালন করে যেন ‘মামা’র কর্তব্য সারলেন তিনিও। সোনালীর কথায়, নিজে উপস্থিত থাকতে পারলে বেশি ভাল লাগত। সেটা সম্ভব নয় বলেই ভাস্বরের মাধ্যমে ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারি সহ ভরপেট খাওয়ার আয়োজন করেছিলেন তিনি। ‘‘কালীঘাট মন্দিরের ভিতর এই আয়োজন সম্ভব নয়। আবার ধর্মীয় স্থানে আমিষ খাবার খাওয়ানোও যায় না। তাই পুষ্টিকর এই মেনুর ব্যবস্থা করেছি,’’ জানালেন ভাস্বর। তাঁর দাবি, পেট ভরে খেতে পেয়ে ২ হাত তুলে সোনালীর ছেলেকে আশীর্বাদ করেছেন সবাই। এটাই চেয়েছিলেন সোনালীও।
ভাস্বর খাবার তুলে দিচ্ছেন সকলের হাতে (বাঁ), সোনালির সন্তান (ডান)
শুধুই কাঙালি ভোজন করিয়ে ছেলের জন্মদিনের উদযাপনে দাঁড়ি টানছেন না অভিনেত্রী। জানালেন, বিকেলে একটি নামী সংস্থা তাঁর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক পাঠাবে। এখনও সন্তানের নামকরণ হয়নি। আপাতত তার ডাকনাম ‘ঋক’। ওই নামই লেখা থাকবে কেকের উপরে। সেই কেক কাটবে একরত্তি।