‘বাহুবলী’ সিরিজের গগনচুম্বী সাফল্যের পর চারিদিকে চর্চা শুধু প্রভাসকে নিয়েই। আজ ৩৯-এ পা দিলেন অভিনেতা। ভক্তদের জন্য নতুন ছবি ‘সাহো’ নিয়েও আসছেন কয়েকদিন পর। তবে তারই আগে প্রভাস সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
প্রভাসের আসল নাম কি জানেন? প্রভাস তো আসল নামেরই একটা অংশ মাত্র। তাঁর আসল নাম ভেঙ্কট সত্যনারায়ণ প্রভাস রাজু উপ্পালাপতি।
কবে যে তাঁর বলি ডেবিউ হচ্ছে তা নিয়ে ভক্তরা বেশ ভাবিত। তবে বলিউডে অনেক আগেই ছোট্ট একটা ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল প্রভাসকে। ‘অ্যাকশন জ্যাকশন’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে।
রজনীকান্তও নন। কমল হাসানও নন। প্রভাসই প্রথম দক্ষিণী অভিনেতা যাঁর একটি মোমের মূর্তি রয়েছে ব্যাঙ্ককের মাদাম তুসো মিউজিয়ামে।
দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক প্রভাসের। অভিনেতার বাবা সত্যনারায়ণ রাজু ছিলেন প্রযোজক। আর নামজাদা তেলুগু অভিনেতা কৃষ্ণম রাজু প্রভাসেরই কাকা।
জীবনে অভিনেতা হওয়ার কোনও ইচ্ছেই ছিল না প্রভাসের। বরাবরই একজন রেস্তরাঁর মালিক হতে চেয়েছিলেন প্রভাস। কিন্তু কেন জানেন? কারণ, প্রভাসের প্রিয় খাবার বাটার চিকেন আর বিরিয়ানি। আর নিজের রেস্তরাঁ হলে সব সময়েই তিনি বাটার চিকেন আর বিরিয়ানি খেতে পারবেন।
‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ এবং ‘থ্রি ইডিয়টস’— এই ছবি দুটি কমপক্ষে ২০ বার করে দেখে ফেলেছেন প্রভাস। আর তার পরেই পরিচালক রাজকুমার হিরানির অন্ধভক্ত হয়ে যান অভিনেতা। তবে তাঁর প্রিয় অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো।
টানা চার বছর ধরে ‘বাহুবলী’ সিরিজের জন্য সময় দিয়েছিলেন প্রভাস। এমনকি প্রকৃত অর্থে বাহুবল হয়ে উঠতে শরীরচর্চা করার জন্য নিজের বাড়িতেই একটা ভলিবল কোর্টও তৈরি করে ফেলেছিলেন প্রভাস। আর তা করে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা।
শুধু এই ‘বাহুবলী’ ছবিটির জন্যই ৫.৫ কোটি টাকার একটি বিজ্ঞাপনের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রভাস। এমনকি পরিচালক রাজামৌলি খোদ বলেছিলেন, ‘‘তেলুগু ছবিতে একের পর হিট দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রভাস। তা সত্ত্বেও বাহুবলী-র জন্য প্রভাস একটা টাকাও চাননি।’’
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুঞ্জন যে, প্রভাসের নাকি বিয়ে ঠিকই করে ফেলেছিলেন তাঁর পরিবার। সে সময়ে পাত্রী ছিলেন একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী। কিন্তু এই ‘বাহুবলী’ সিরিজের জন্যই বিয়েও পিছিয়ে দিয়েছিলেন প্রভাস। তবে অভিনেত্রী অনুষ্কা শেট্টির সঙ্গেও প্রভাসের সম্পর্ক নিয়ে এক সময়ে কম জলঘোলা হয়নি।
প্রভাসের পছন্দের বেড়াতে যাওয়ার জায়গা লন্ডন। তাই ‘বাহুবলী’ সিরিজের শুটিং শেষ করেই লন্ডন পাড়ি দিয়েছিলেন অভিনেতা।