সোহিনী সেনগুপ্ত।
নতুন বছরে নতুন খবর। মা হচ্ছেন পুটুপিসি! না, এটা স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র কোনও নতুন বাঁক নয়। এটা কালার্স বাংলার কেরামতি।
নতুন বছরে অর্গানিক স্টুডিয়োর প্রযোজনায় আসছে নতুন ধারাবাহিক, ‘সোনা রোদের গান’। সেখানেই নায়িকা আনন্দীর মা হবেন সোহিনী সেনগুপ্ত। বাবা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দীর ভূমিকায় দেখা যাবে পায়েল দে-কে। আড়াই বছর পরে ফের তিনি ছোট পর্দায় নায়িকা। এই খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাবনায় তৈরি হিন্দি ধারাবাহিক ‘থোড়া সা বাদল থোড়া সা পানি’ যথেষ্ট জনপ্রিয়। তারই বাংলা রূপ এই ধারাবাহিক। যাকে টানটান চিত্রনাট্যে বাঁধছেন শর্বরী ঘোষাল। গল্পে আরও মোচড়। আনন্দী ওরফে পায়েলকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেতে আগ্রহী দুই পুরুষ। প্রথম সারির ব্যবসায়ী বিক্রম আর চিকিৎসক অনুভব। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন যথাক্রমে সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঋষি কৌশিক।
‘এখানে আকাশ নীল’-এর চূড়ান্ত সাফল্যের পর ফের ঋষি কৌশিক চিকিৎসকের ভূমিকায়। এই খবরও আনন্দবাজার অনলাইনকেই প্রথম জানিয়েছিলেন অভিনেতা। আনন্দীর পছন্দের পুরুষ কি তিনিই? পায়েল এর আগের সাক্ষাৎকারে রহস্য রেখেছিলেন। জানিয়েছিলেন, সব উত্তর তোলা থাক নতুন বছরের জন্য। তবে ঋষি কৌশিক লুকোছাপা করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, পায়েলের বিপরীতে তিনিই। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথম তাঁরা জুটি বাঁধতে চলেছেন।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় মানেই ঘরোয়া গল্প। নারীর জয়গান। ‘সোনা রোদের গান’ও শোনাবে এমন এক সাধারণ মেয়ের গল্প যে পরিবারের মুখ চেয়ে নিজের শখ-আহ্লাদ হাসিমুখে ত্যাগ করতে পারে। আনন্দী তার মা-বাবার চোখের মণি। স্বভাবে বুদ্ধিমান, কিন্তু তুখোড় নয়। তাকে সব সময় তাই আগলে রাখে তার পরিবার। বিক্রমের সঙ্গে আনন্দীর বিয়ে যখন সব ঠিক তখনই আচমকা অসুস্থ তার বাবা। মৃত্যুপথযাত্রীকে ফেলে কী করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে সে? এই সময়েই বাবার চিকিৎসা করতে তাদের বাড়িতে পা রাখে অনুভব। সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেয় আনন্দীর দিকে।
বরাবর লীনার ধারাবাহিক ভাষান্তরিত হয়। এ বার তাঁর হিন্দি ধারাবাহিকের বাংলা রূপ আসছে। বিষয়টা কেমন? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল প্রযোজক এবং লীনা-পুত্র অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ধারাবাহিকের মান এমনিতেই জাতীয় স্তরের। কারণ, আমরা মনে করি দেশের সব অঞ্চলের মানুষ প্রায় একই রকমের অনুভূতিপ্রবণ। তাই ছোটখাটো বদল ছাড়া বেশি কিছু পাল্টাতে হয় না। ফলে, খাটনি কম। তবে মজা লাগছে।’’ ধারাবাহিকের পরিচালনা কে করবেন এখনও ঠিক হয়নি। শ্যুট শুরু হবে সম্ভবত বছরের শেষে। তবে ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি আনন্দবাজার অনলাইনের পাঠকদের জন্য অর্কের দেওয়া টাটকা খবর, ‘‘ছোট পর্দায় প্রযোজনার সঙ্গেই নতুন বছরে আবার বড় পর্দার জন্য ছবি পরিচালনা করতে চলেছি।’’